জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ। রোববার ভোরের দিকে মসজিদটির চত্বর খুলে দেয়া হয়েছে। মহামারি করোনার কারণে দীর্ঘ দুই মাস পর খুলে দেয়া হলো মুসলমানদের প্রথম কেবলা ঐতিহাসিক এ মসজিদ। যথারীতি ফজরের নামাজে অংশগ্রহণে উপস্থিত হয়েছে অনেক মুসল্লি। খবর এএফপি।
Advertisement
রোববার ফজরের নামাজের কয়েক ঘণ্টা আগে মুসল্লিদের মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করার অনুমতি হয়। মহামারি করোনায় নিরাপত্তার স্বার্থে মুসল্লিদের সবাই ছিলেন, মাস্ক পরিহিত।
ফজরে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের অভিনন্দন জানান আল-আকসা মসজিদের পরিচালক ওমর আল-কিসওয়ানি। এ সময় মুসল্লিরা মহান আল্লাহ প্রশংসা করেন এবং ইসলামি ভ্রাতৃত্বে উজ্জীবিত হওয়ার স্লোগান দেন। তারা বলেন-'আল্লাহ মহান! আমাদের আত্মা ও রক্ত দিয়ে আল-আকসা রক্ষা করব।'
মুসলমানদের ঐতিহাসিক আল-আকসা মসজিদে পবিত্র নগরী পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত। ইসরাইল এ অঞ্চলটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। মহামারির কারণে গত মার্চ মাস থেকে দখলদার ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এটি বন্ধ রাখে।
Advertisement
আল-আকসার খতিব ইকরামা সাবেরি গ্রেফতারএদিকে তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির তথ্য মতে, আল-আকসা মসজিদের গ্র্যান্ড খতিব ও ইমাম ইকরামা সাইদ সাবরিকে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে ইয়াহদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরাইলের গোয়েন্দা বাহিনী। শায়খ ইকরামা সাবেরিকে গ্রেফতারের ঘটনায় ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, শুক্রবার বায়তুল মুকাদ্দাস তথা জেরুজালেমে তার বাসভবনে ইসরাইলি গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সদস্যরা হানা দেয় এবং তাকে আটক করে নিয়ে যায়। ইমামের পরিবারের এক সদস্য আনাদোলু এজেন্সিকে জানান, ইমামকে পশ্চিম জেরুজালেমের আল-কাশলা থানায় নেয়া হয়েছে।
হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, খতিব ইকরামা সাবরিকে আটকের মাধ্যমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ ও ইবাদতের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। মুসলমানদের এ অধিকারের ওপর আঘাত হানা হয়েছে। এটি আল-আকসা মসজিদকে মুসল্লি শূন্য করার শামিল।
মহামারি করোনাভাইরাসের অজুহাতে দীর্ঘ দিন আল-আকসা মসজিদ একেবারেই বন্ধ রাখে ইসরাইল। এরই মধ্যে রোববার ফজরের আগে নামাজের জন্য মসজিদ খুলে দেয়া হলেও মসজিদে গ্র্যান্ড ইমাম ও খতিব ইকরামা সাবেরিকে গ্রেফতার করে মসল্লিদের মধ্যে ভীতি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান হামাস।
Advertisement
মসুলমানদের এ পবিত্র স্থান ও প্রথম কেবলা আল-আকসা মসজিদ রক্ষায় বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম দেশেরই রয়েছে ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় দায়িত্ববোধ। এ ক্ষেত্রে তাদের সবার উচিত নিজ নিজ স্থানে থেকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করা। হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া সব মুসলিম দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের এ দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
এমএমএস/এমকেএইচ