আন্তর্জাতিক

সর্বোচ্চ সংক্রমণের মধ্যেই সচল হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া

পাকিস্তানে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। ভারতেও গতকালের রেকর্ড ভেঙ্গে আজ নতুন করে সর্বোচ্চ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও সর্বোচ্চ রোগী মারা গেছে বাংলাদেশে। দেশগুলোতে প্রতিদিনই ভাঙছে আগের রেকর্ড।

Advertisement

দক্ষিণ এশিয়ায় করোনার বিস্তার যে আশঙ্কাজনকহারে ছড়াচ্ছে তার প্রমাণ উল্লিখিত এই পরিসংখ্যান। এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ভারতে সংক্রমিত হচ্ছে গড়ে সাত হাজারের বেশি মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৯৬৪ জন। মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১ লাখ ৮১ হাজারের বেশি।

পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত একদিনে দেশটিতে নতুন করে ৮৮ জন কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছে। যা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মারা গেল ১ হাজার ৪৯৯ জন। পাকিস্তানে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা এখন ৭০ হাজার ৩৮১ জন।

এদিকে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মারা গেছেন ৪০ জন; আক্রান্ত ২ হাজার ৫৪৫। এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৬৫০। সব মিলে দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৭ হাজার ১৫৩ জন। দুই মাস পর বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে দেশে।

Advertisement

বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত দেশগুলোর তালিকায় ভারতের অবস্থান এখন অষ্টম। পাকিস্তানের অবস্থান ১৮ এবং বাংলাদেশ ২১। ভারতে লকডাউন পুরোপুরি প্রত্যাহার না করে গতকাল শনিবার পঞ্চম দফাতেও নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছে। তবে তা আক্রান্ত এলাকাগুলোতেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

চতুর্থ দফার লকডাউন থেকে অনেক বিধিনিষেধ শিথিল করে ভারত। সর্বোচ্চ সংক্রমণের মধ্যে সব কিছু স্বাভাবিক করার পথে দেশটি। সংক্রমণ রুখতে সাবধান ও সতর্ক থাকার কথা আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, ‘ধীরে ধীরে সব চালু হচ্ছে। এই সময় আরও সাবধান থাকতে হবে আমাদের।’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সঙ্গে বসবাসে অভ্যস্ত হতে হবে জনগণকে। দেশটিতে ফেব্রুয়ারির শেষে রোগী শনাক্ত হলেও লকডাউন করা হয় ১ এপ্রিল। দুই দফায় এর মেয়াদ বাড়িয়ে ৯ মে থেকে লকডাউন শিথিল করা শুরু করে সরকার।

বাংলাদেশের মতো দেশের পক্ষে অনির্দিষ্টকাল মানুষের আয়-রোজগারের পথ বন্ধ করে রাখা সম্ভব নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, জীবন-জীবিকার স্বার্থেই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করতে হবে। ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত করোনাভাইরাসকে সঙ্গী করেই বাঁচতে হবে আমাদের।

Advertisement

এসএ