নোয়াখালীতে একদিনে ছয় পুলিশ সদস্যসহ ৯০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৬৫ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।
Advertisement
এ পর্যন্ত ৩৭ পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় জেলার বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়ি ও সদরের সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ি লকডাউন করা হয়েছে। রোববার মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুর রহমান।
তিনি বলেন, গত ২৮ ও ২৯ মে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা জন্য আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ল্যাবে পাঠানো হয়। পরে ৩০ মে রাতে তাদের রিপোর্ট আসে।
আক্রান্ত ৯০ জনের মধ্যে ছয় পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৬ জনকে মাইজদী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে স্থাপিত অস্থায়ী করোনা ভাইরাস হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
Advertisement
এছাড়া মোট আক্রান্তদের মধ্যে ৫৬৫ জন নিজ নিজ বাড়িতে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। বয়স্ক এক ব্যক্তিকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। বাকি ৪১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ১২ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি আরও বলেন, শনাক্ত হওয়া প্রায় সবাই জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। এমন খবরের ভিত্তিতে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সে নমুনায় তাদের করোনা পজিটিভ আসে। এদিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, ওসিসহ জেলার ৩৮ পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। যার কারণে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী ফাঁড়ি ও সদরের সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
অপরদিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা ও প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র চৌমুহনীতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হার বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসন জেলার বাণিজ্যকেন্দ্র চৌমুহনী বাজার আজ ৩১ মে থেকে আগামী ৭ জুন পর্যন্ত তৃতীয় দফায় লকডাউন বলবৎ রেখেছে। এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস জানান, বেগমগঞ্জ উপজেলা ও চৌমুহনী বাজার এলাকায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩১৪ জনের। গত ২৩ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত চৌমুহনী বাজার লকডাউন থাকায় এখানে গত কয়েকদিনে সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা কম দেখা গেছে। সে আলোকে শনিবার উপজেলায় করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আরো সাতদিন অর্থাৎ ৩১ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত লকডাউন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ কয়েকদিনের পরিসংখ্যান বিবেচনা করে পরবর্তী কী করণীয় তা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মিজানুর রহমান/এফএ/এমএস
Advertisement