ঢাকার ধামরাইয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এই প্রথম আনছার আলী (৬০) নামে এক চাল ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার ভোরে উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কাকরান গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। পরে ধামরাই থানা পুলিশের সহযোগিতায় আনছার আলীর লাশ দাফন করা হয়।
Advertisement
এর আগে শনিবার রাতে আনছার আলী, তার মেয়ে তাহমিনা আক্তার এবং মেয়ের জামাই স্বাস্থ্যকর্মী আব্দুল্লাহর করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে বলে জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
মৃত আনছার আলী ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কাকরান গ্রামের ছাবেদ আলীর ছেলে। তিনি গত কয়েকদিন ধরে জ্বর-কাশি ও ঠাণ্ডায় ভুগছিলেন।
ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, গত ২৮ মে আনছার আলী, তার মেয়ে তাহমিনা আক্তার ও মেয়ের জামাই নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনোলজিস্ট আব্দুল্লাহর নমুনা নিয়ে যান ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা। নমুনা সংগ্রহের পর তা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হলে শনিবার রাতে তাদের তিনজনের রির্পোট পজিটিভ আসে। রাতেই ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা তাদের করোনা পজিটিভের বিষয়টি জানিয়েছেন। রোববার ভোরে আনছার আলী নিজ বাড়িতেই মারা যান।
Advertisement
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা জানান, রোববার পর্যন্ত ধামরাই উপজেলায় করোনা সন্দেহে ৯৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৪ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এদের মধ্যে ১০ জন সুস্থ হয়েছেন এবং তিনজন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন। অন্যরা বাড়ি থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এছাড়া রোববার ভোরে প্রথম ধামরাইয়ে আনছার আলী নামে করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তি মারা গেছেন এবং ওই পরিবারের আরও দু’জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে তারা সুস্থ আছেন। এ ঘটনায় নিয়ম মেনে পুলিশের সহযোগিতায় মৃতদেহটি নিজ এলাকায় দাফন করা হয়েছে।
অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে ধামরাই উপজেলায় কেউ মারা গেলে তার পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন। ঘোষণা অনুযায়ী নিহত আনছার আলীর পরিবারকেও ৫০ হাজার টাকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন।
আল-মামুন/এফএ/এমকেএইচ
Advertisement