বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগরের সভাপতি আবুল হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায় এক যুক্ত বিবৃতিতে গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে করোনাগ্রস্ত নগরবাসীর জন্য ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে অবহিত করেছেন।
Advertisement
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত ৬৬ দিন লকডাউন পরিস্থিতিতে নাগরিকদের জীবন-জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। মরণঘাতী করোনাকে সরকার এখনো নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়নি। এই অবস্থায় সরকার লকডাউন পরিস্থিতি প্রত্যাহারের পরেও জনজীবনের শঙ্কা অব্যাহত রয়েছে। দীর্ঘ তিন মাস নগরজীবনে আয়-রোজগার না থাকায় নগরের মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তসহ দরিদ্র মানুষের জীবন-জীবিকার যে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে আরও অনেক সময় প্রয়োজন।
তারা আরও বলেন, নগরবাসীর আয়-রোজগার বৃদ্ধির জন্য সরকারকে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। আসন্ন বাজেটে এ ব্যাপারে সুর্নিদিষ্ট দিক নির্দেশনাসহ বরাদ্দ রাখতে হবে। মানুষের ‘কাজের বিনিময় আয়-রোজগার’ প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। সরকারকে এখনই কোনো পণ্যের দাম বৃদ্ধি বা ভাড়া বৃদ্ধিতে জনজীবনের অবস্থা আরও অবনতি ঘটবে।
তাই গণপরিবহণের ভাড়া বৃদ্ধির পরিবর্তে গণপরিবহণে অবৈধ চাঁদাবাজি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে এবং সরকারি প্রণোদনার মাধ্যমে গণপরিবহানের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি সমন্বয় করতে হবে। এই মুহূর্তে গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি সামাজিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। তাই বিষয়টি গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করতে হবে সরকারকে।
Advertisement
এফএইচএস/এমএফ/এমএস