জাতীয়

প্রতিষ্ঠান চালালে থার্মোমিটার-জীবানুণাশক রাখতে হবে

করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সরকারের দেয়া সাধারণ ছুটি পরবর্তী সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সকল স্থাপনা, প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে থার্মোমিটার, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও যথেষ্ট পরিমাণে জীবানুণাশক কর্তৃপক্ষকে রাখতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে হবে।

Advertisement

রোববার (৩১ মে) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে লকডাউন পরবর্তী গাইডলাইন দেয়া আছে। আপনারা জানেন- আমাদের লকডাউন উঠে গেছে। আমরা অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনযাপনের দিকে ফিরে যাচ্ছি। কিন্তু সাবধানতা অবশ্যই পালন করতে হবে। সে বিষয়ে আমাদের লকডাউন পরবর্তী গাইডলাইন যা ডিজিএইচএস (স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ) বা স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে করোনা বিষয়ক গাইডলাইনে ‘কোভিড-১৯ মহামারি সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কারিগরি নির্দেশনা’ শীর্ষক একটি গাইডলাইন রয়েছে।’

নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘আপনারা সকলেই এই গাইডলাইনটি দেখবেন। কারণ লকডাউন পরবর্তী সময়ে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে এ গাইডলাইনের নিয়মগুলো মেনে চলার জন্য নির্দেশনা দেয়া হলো। লকডাউন পরবর্তী সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সকল স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানে নিয়ন্ত্রক ও ব্যবস্থাপকদের আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে যেমন- থার্মোমিটার, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, যথেষ্ট পরিমাণে জীবানুণাশক– এগুলো থাকতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। তাছাড়া আরেকটি বিষয়ে বলব- প্রত্যেকেরই সঠিকভাবে মাস্ক পরা অত্যাবশ্যক। অবশ্যই প্রত্যেককে মাস্ক পরতে হবে ও সঠিকভাবে পাস (অতিক্রম) করতে হবে। এ বিষয়ে আপনারা সতর্ক ও সচেতন থাকবেন।’

Advertisement

এর আগে তিনি জানান, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪০ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯)। এটি এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৫০ জনে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৫৪৫ জন। এটিও একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৭ হাজার ১৫৩।

পিডি/এফআর/এমকেএইচ