জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপ-নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে তা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কাদের সিদ্দিকীর মনোয়নপত্র বাতিলে নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত স্থগিত ঘোষণা করেছেন আদালত।রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন কেন বৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রুলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, রিটার্নিং অফিসারকে বিবাদী করা হয়েছে।এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসারের সিদ্বান্ত স্থগিত করে এই আদেশ দেন।মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, নির্বাচন কমিশনের পক্ষে অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম এবং কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন, ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরি।এ বিষয়ে কাদের সিদ্দিকীর আইনজীবী ব্যারিষ্টার রাগিব রউফ চৌধুরি সাংবাদিকেদর বলেন, কাদের সিদ্দীকীর আবেদন গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন এবং রিটার্নিং অফিসারের সিদ্বান্ত স্থগিত করে মনোয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।অপরদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, কাদের সিদ্দিকীর আবেদন গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং রুল জারি করা হয়েছে। তবে হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করবো। আপিলে রায় বহাল থাকলে নির্বাচন করতে পারবেন অপরদিকে আপিল বিভাগ বাতিল করলে কাদের সিদ্দিকী নির্বাচন করতে পারবেন না। তিনি বলেন, আমি মনে করি ঋন খেলাপিরা নির্বাচন করার যোগ্য নয়। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আপিল করার পর আদালত কি সিদ্ধান্ত দেয় সেটা আদালতের বিষয়।প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। রিট আবেদনে বলা হয়, ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়ন বাতিল করা অবৈধ। কেননা, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পুনঃতফসিল করায় কাদের সিদ্দিকীঋণখেলাপির অন্তর্ভুক্ত হননি।এর আগে গত ১৩ অক্টোবর ঋণখেলাপির অভিযোগে নির্বাচন কমিশন এ আসনের উপনির্বাচনে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে। কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিলের কারণ হিসেবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থার নামে অগ্রণী ব্যাংকে ১০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। কাদের সিদ্দিকী এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও নাসরিন কাদের সিদ্দিকী পরিচালক। ঋণখেলাপি হওয়ায় তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বর টাঙ্গাইলের-৪ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।এফএইচ/এআরএস
Advertisement