সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার পৌনে ১২টায় সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার কারান্তরীণ আসামিদের উপস্থিস্তিতে সাক্ষগ্রহণ শুরু হয়। আজ সাক্ষ্য দেয়ার জন্য তিনজন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থিত করা হয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট অশোক কুমার কর। এরা হলেন, আবদুল কাইয়ুম, তুহিন আহমদ ও ইমান আলী। এ মামলার চার্জশিটে মোট ১৭১জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।এর আগে সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথমদিনে গত ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খান সাক্ষ্য দেন।সাক্ষগ্রহণ উপলক্ষে মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হবিগঞ্জের বরখাস্থকৃত পৌর মেয়র জিকে গউছ, হুজির শীর্ষ জঙ্গি মুফতি হান্নানসহ অন্যান্য আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত আছেন।এ হত্যা মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ১৪ জন কারাগারে, ৮ জন জামিনে এবং ১০ জন পলাতক রয়েছেন। তবে মামলার অপর আসামি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অসুস্থ থাকায় তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. লালা শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন।গত ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার আলোচিত এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম কার্য দিবস ছিল। কিন্তু প্রথম কার্যদিবসে ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি মামলার বাদী সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খানসহ ৫ জন। তারা ট্রাইব্যুনালে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করলে পিছিয়ে যায় আলোচিত এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ।গত ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার মামলার বাদী সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খানসহ পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্য দেয়ার কথা থাকলেও শুধু মামলার বাদী ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন। অন্যরা আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনা করেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান চাঞ্চল্যকর এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার বরখাস্তকৃত মেয়র জি কে গউছ, হরকাতুল জিহাদের হুজির শীর্ষ জঙ্গি মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ৩২ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। আদালত সূত্র জানায়, এর আগে কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জগঠনের তারিখ ৯ দফা পেছানো হয়। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজারের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাংসদ আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। ছামির মাহমুদ/এসএস/পিআর
Advertisement