আন্তর্জাতিক

থাইল্যান্ডের করোনা জয়, পাঁচ মাসে আক্রান্ত ৩০৮১ মৃত ৫৭

ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলো যখন করোনাভাইরাসের হানায় কাঁপছে, তখন মহামারি নিয়ন্ত্রণে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড। গত পাঁচ মাসে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র হাজার তিনেক মানুষ, মারা গেছেন একশ’ জনেরও কম।

Advertisement

থাই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন মাত্র চারজন। এদিন মারা যাননি কেউই। ফলে দেশটিতে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮১ জন, আর মৃতের সংখ্যা রয়েছে ৫৭-ই।

রোববার থাইল্যান্ডের করোনা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র পানপ্রাপা ইয়ংত্রাকুল জানিয়েছেন, নতুন শনাক্ত চার রোগীই বহিরাগত। তারা সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক ও সৌদি আরব থেকে সম্প্রতি থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছেন। তাদের সবাইকেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

এ কর্মকর্তা জানান, গত দু’সপ্তাহ ধরে দেশটিতে করোনার প্রকোপ একেবারে কমে এসেছে। এসময়ে নতুন শনাক্ত ৮০ শতাংশ রোগীই বিদেশফেরত থাই নাগরিক।

Advertisement

করোনার প্রকোপ কমে আসায় ইতোমধ্যেই লকডাউন শিথিল করেছে থাইল্যান্ড। খুলে দেয়া হয়েছে বেশ কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও পার্ক। চালু হয়েছে রেস্টুরেন্ট, সেলুন, ফুটপাতের বাজারগুলো। মদ বিক্রিতেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সরকার।

আগামী সোমবার থেকে সিনেমা হল, জিমসহ আরও কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শুধু মহামারি নিয়ন্ত্রণেই সফলতা নয়, থাইল্যান্ড আশাতীত সাফল্য দেখাচ্ছে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টাতেও। প্রথম ধাপে ইঁদুরের দেহে পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল আসার পর ইতোমধ্যেই বানরের শরীরে করোনাভাইরাসের একটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করেছেন থাই বিজ্ঞানীরা।

দেশটির ন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট, দ্য ডিপার্টমেন্ট অব মেডিক্যাল সায়েন্স এবং চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যৌথ প্রচেষ্টায় এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন।

Advertisement

গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডের উচ্চশিক্ষা, বিজ্ঞান, গবেষণা এবং উদ্ভাবনবিষয়ক মন্ত্রী সুভিত মায়েসিনসি বলেছেন, গবেষকরা ভ্যাকসিনটি এখন বানরের দেহে পরীক্ষা করছেন। আশা করছি, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এর কার্যকারিতার বিষয়ে একটি 'পরিষ্কার ফল' পাওয়া যাবে।

তিনি জানান, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য এই ভ্যাকসিনটির উৎপাদনের জন্য দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ভাইরাসের আরএনএ ব্যবহার করে থাই বিজ্ঞানীদের তৈরিকৃত এই ভ্যাকসিনটি দেহকোষে অ্যান্টিবডি তৈরি করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

সূত্র: রয়টার্স

কেএএ/জেআইএম