দেশজুড়ে

গণিতে খারাপ করেছে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের শিক্ষার্থীরা

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার কমলেও জিপিএ-৫ বেড়েছে। কমেছে শতভাগ পাস করা স্কুলের সংখ্যাও। এ বছর গড় পাসের হার ৮২.৭৩ শতাংশ। যা গতবার ছিল ৮৪.১০ শতাংশ।

Advertisement

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. তোফাজ্জুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।

এ সময় তিনি বলেন, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে যারা ফেল করেছে তাদের মধ্যে অধিকাংশ গণিতে ফেল করেছে। যারা প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন ও উত্তরপত্র তৈরি করে পরীক্ষকদের কাছে সরবরাহ করেছেন কারা মাস্টার ট্রেইনার। কিন্তু সব স্কুলে মাস্টার ট্রেইনার শিক্ষক নেই। ফলে ছাত্রদের জন্য প্রশ্ন কঠিন হয়েছে। তাই আগামী দিনে ছাত্রদেরকে গড়ে তুলতে গণিত বিষয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।

দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় ১ লাখ ৯১ হাজার ৮২১ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৮৫ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৯৮ হাজার ৮৩৩ জন ও ছাত্রী ৯২ হাজার ৯৮৮ জন। গড় পাসের হার ৮২.৭৩ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৮১.২২ শতাংশ ও ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪.৩২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৮৬ জন। যা গতবার ছিল ৯ হাজার ২৩ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ৩২৬ জন ও ছাত্রী ৫ হাজার ৭৬০ জন। জিপিএ-৫ গতবারের চেয়ে ৩ হাজার ৬৩ জন বেশি পেয়েছে।

Advertisement

এ বছর শতভাগ পাসকৃত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২২ যা গতবার ছিল ১৩৮টি। শতভাগ পাসকৃত স্কুলের সংখ্যা গতবারের চেয়ে এবার ১৬টি কম। কেউই পাস করেনি এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১টি।

ফলাফল প্রকাশ করে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. তোফাজ্জুর রহমান বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কম হলেও ফলাফলের মানদণ্ড ভালো। ফলাফল নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই।

এমদাদুল হক মিলন/এফএ/পিআর

Advertisement