করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে চলমান সাধারণ ছুটি আর না বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সীমিতভাবে গণপরিবহন (বাস, নৌযান ও ট্রেন) চালু হতে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (৩১ মে) থেকে লঞ্চ চলাচলও শুরু হচ্ছে। তবে মালিকদের দাবি থাকলেও আপাতত বাড়ছে না লঞ্চ ভাড়া। এছাড়া যাত্রীবাহী লঞ্চে রাস্তায় চলাচলকারী মোটরসাইকেল বহননিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
Advertisement
শুক্রবার (২৯ মে) অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রীবাহী নৌযান পরিচালনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লঞ্চ মালিক সমিতি ও নৌযান শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া ১৪টি নির্দেশনা মেনে রোববার থেকে লঞ্চ চলাচল করবে। সদরঘাটসহ নদীবন্দরগুলোতে যাত্রীদের জীবাণুমুক্ত করে লঞ্চে উঠাতে হবে। আর এই দায়িত্ব নেবে বিআইডব্লিউটিএ। এজন্য ঘাটগুলোতে জীবাণুমুক্ত করার টানেল বসানো হবে। তাপমাত্রা মাপারও ব্যবস্থা থাকবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম-পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, আগামীকাল সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে চালু হতে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে রাস্তায় চলাচলকারী মোটরসাইকেল বহন করা নিষিদ্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। তবে পূর্ব থেকে বুকিং ও প্যাকিং করে নেয়া যাবে। এছাড়া পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত মুখে মাস্ক পরিধান ব্যতীত দেশের সকল লঞ্চ টার্মিনালে প্রবেশ ও যাত্রীবাহী লঞ্চে আরোহণ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
Advertisement
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, লঞ্চ মালিকরা লঞ্চ জীবাণুমুক্ত করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রীদের পরিবহনের ব্যবস্থা করবেন। যাত্রীরা যাতে মাস্ক পরেন, তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তবে মালিকরা ভাড়া বাড়ানোর দাবি তুললেও বাড়ানো হয়নি ভাড়া।
এএস/এসআর