মেহেরপুর জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। বিশেষ করে সামাজিক সংক্রমণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। অপরদিকে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সদর উপজেলার কোলা গ্রামের ঢাকাফেরত পরিবহন শ্রমিক লিটু মিয়ার (৪৫) মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মৃতের সংখ্যা এখন দুই। আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫।
Advertisement
গত ২২ এপ্রিল মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামে বসবাসকারী ব্র্যাকের যক্ষ্ম প্রকল্পের এক কর্মকর্তা জেলার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে কোভিড-১৯ পজিটিভ হন। ওই দিনই মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে বল্লভপুর গ্রামের ইদ্রিস আলী (৩২) করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। নমুনা পরীক্ষায় তার কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়।
চিকিৎসা ও দাফন কাফনে অংশগ্রহণের সংস্পর্শে আসায় মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মর্কতা, ওসি তদন্ত এবং মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও আয়া ওয়ার্ডবয়সহ ২৮ জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়।
তাদের নমুনা সংগ্রহে শুধু একজন নার্স এবং চিকিৎসকের এক সহকারী কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছিলেন। বাকিরা আক্রান্ত হননি। তা ছিল জেলার জন্য বড় সুখবর। কিন্তু গেল সপ্তাহ থেকে জেলায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা বেড়ে যাওয়া অশনিসংকেত হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
Advertisement
তবে আশার কথা হচ্ছে, জেলায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এ পর্যন্ত পাঁচজন সুস্থ হয়েছেন। বাকিদের প্রায় সকলেই হোম আইসোলেশনে সুস্থ রয়েছেন বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দিন।
তিনি সামাজিক সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী দুই সপ্তাহ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
আসিফ ইকবাল/বিএ/জেআইএম
Advertisement