জাতীয়

আরও ১২ আনসার করোনায় আক্রান্ত, মোট ৩৪০

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আনসার বাহিনীর ৩৪০ জন সদস্য।এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০৩ জন। আর করোনায় একজন আনসার সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

শনিবার (৩০ মে) সকালে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দফতর থেকে এ তথ্য জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক (যোগাযোগ) মেহেনাজ তাবাসসুম রেবিন জানান, নতুন করে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ১২ জন সদস্য। এ পর্যন্ত একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পর্যায়ের ৩৪০ জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় অক্রান্ত হয়েছেন ২৮৪ জন এবং ঢাকার বাইরে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক একজন, ১০৩ জন ব্যাটালিয়ন আনসার, ২৩০ জন অঙ্গীভূত আনসার, একজন বিশেষ আনসার, একজন সিগন্যাল অপারেটর, একজন নার্সিং সহকারী, দুজন নারী আনসার এবং একজন ভিডিপি সদস্য।

Advertisement

উল্লেখ্য, আক্রান্তদের মধ্যে ৮১ জন ব্যাটালিয়ন আনসার জাতীয় সংসদ ভবনে এবং ১৭৪ জন অঙ্গীভূত সাধারণ আনসার ঢাকা মহানগর পুলিশের সাথে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া বাকিদের কেউ সদর দফতর এবং কেউ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত রয়েছেন।

এ পর্যন্ত বাহিনীর করোনা আক্রান্তদের মধ্য থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০৩ জন। এর মধ্যে ব্যাটালিয়ন আনসার সুস্থ হয়েছেন ২৮ জন, অঙ্গীভূত সাধারণ আনসার ৭১ জন, নার্সিং সহকারী একজন, সিগন্যাল অপারেটর একজন, ভিডিপি সদস্য একজন এবং নারী আনসার সুস্থ হয়েছেন একজন।

মেহেনাজ তাবাসসুম রেবিন আরও বলেন, করোনাযুদ্ধে জয়ী সদস্যরা সুস্থ হয়ে যার যার কর্মস্থলে যোগদান করে আবার তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন।

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর করোনা আক্রান্তদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ১৩ জন। প্রাতিষ্ঠানিক ও বিভিন্ন আাবাসিক হোটেল কোয়ারেন্টাইনে ৫২৪ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে বাহিনীর ১৭৭ জন সদস্য চিকিৎসাধীন আছেন।

Advertisement

করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত বাহিনীর আব্দুল মজিদ নামে একজন সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি পিসি অঙ্গীভূত আনসার। তার বাড়ি বগুড়ায়। মৃত্যুর আগে তিনি গুলশান বিভাগের ভাটারা থানায় কর্মরত ছিলেন। গত ১১ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে তার মৃত্যু হয়।

জেইউ/এমএসএইচ/এমকেএইচ