আন্তর্জাতিক

ইউরোপে প্রথম ‘করোনামুক্ত’ হলো মন্টেনিগ্রো

ইউরোপের প্রথম দেশে হিসেবে নিজেদের ‘করোনামুক্ত’ ঘোষণা করলো মন্টিনিগ্রো। বিগত টানা ২৫ দিন নতুন করে রোগী শনাক্ত না হওয়ায় এমন ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। মন্টিনিগ্রো প্রথম রোগী শনাক্তের ৬৯ দিন পর এই ঘোষণা দিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে খবরটি জানানো হয়েছে।

Advertisement

বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস সামলাতে যখন বাঘা বাঘা দেশগুলোকে হিমশিম খেতে হচ্ছে তখন কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধে নিজেদের সাফল্যের জানান দিল বলকান অঞ্চলে আড্রিয়াটিক সাগরের পূর্ব উপকূলের ছোট্ট এই দেশ। এতে দেশটির পর্যটন শিল্পে পুনরায় গতি ফিরবে।

দেশটিতে প্রথম রোগী শনাক্তের ৭৫ দিন পার হয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী প্রাদুর্ভাব শুরুর পর আড়াই মাসে সাড়ে ছয় লাখের বেশি জনসংখ্যার এই দেশটিতে মোট ৩২৪ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বাকি ৩১৫ জন এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।

বলা হচ্ছে, আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ এই মহামারির ব্যাপক সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচিয়েছে দেশটিকে। বিশ্বজুড়ে ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শুরুতেই সব দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ করে দেয় মন্টেনিগ্রো। এমনকি পর্যটকদের প্রবেশেও কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার।

Advertisement

শুরুতেই দেশটিতে করোনা পরীক্ষা, সেলফ আইসোলেশন ও আক্রান্তের সংস্পর্শে আসাদের শনাক্তের পর সঙ্গরোধ করে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধিসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ অমান্য করলে শাস্তি হিসেবে শুরু হয় মোটা অংকের জরিমানা আদায়। যা ভাইরাসটির বিস্তার রোধে ভূমিকা রেখেছে।

এরপর সংক্রমণ কমতে থাকলে ৩০ মার্চ থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করতে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী দুস্কো মার্কোভিচ সংবাদ সম্মেলনে দেশকে সম্পূর্ণ করোনামুক্ত হিসেবে ঘোষণা করে বলেন, ‘মারাত্মক এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে মন্টিনিগ্রো এখন ইউরোপের প্রথম ‘‘করোনামুক্ত’’ দেশে পরিণত হয়েছে।’

এসএ

Advertisement