শনিবার (৩০ মে) থেকে শেষ হচ্ছে করোনাভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত টানা ৬৬ দিনের ছুটি। এ ছুটির অবসানের ফলে আগামীকাল ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামছে গণপরিবহনও (বাস, লঞ্চ, ট্রেন)। সীমিত পরিসরে সড়কে গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রে করোনা সুরক্ষায় ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ও তৎপর থাকবে বাংলাদেশ পুলিশ।
Advertisement
যদিও চলমান সাধারণ ছুটিতে সঙ্গত কারণে বাংলাদেশ পুলিশের ক্রাইম ও ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট কিছুটা ভিন্ন ছিল। নতুন করে সব অফিস ও গণপরিবহন সীমিত আকারে চলতে শুরু করার ঘোষণায় ক্রাইম ও ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ঢেলে সাজানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, ‘এখন বাস্তবতার বিবেচনায় অর্থাৎ হয়তো আরও কিছুদিন কিংবা বেশ কয়েকদিন এই করোনার সঙ্গে সহাবস্থান করতে হতে পারে। এই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার জনস্বার্থে গণপরিবহন সীমিত আকারে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং নতুন করে ছুটিও বাড়ানো হয়নি। এর ফলে জনগণের চলাচল বেড়ে যাবে, গণপরিবহনে অধিক হারে চলাচল শুরু হবে।’
এই বাস্তবতায় বাংলাদেশ পুলিশকে অবশ্যই নতুন করে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ও ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট আরও বেগবান করতে হবে বলে জানান তিনি।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘আমরা ট্রাফিক ও ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট নতুন করে ঢেলে সাজাব। একইসঙ্গে করোনা নিয়ন্ত্রণের যে কার্যক্রম আমরা শুরু থেকে করে আসছিলাম, সেটা চলমান থাকবে।’ পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘তবে এটা সত্য যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন সব মানুষের চলাফেরা বেড়ে যাবে, তখন এটি আমাদের জন্য অনেক অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। বাংলাদেশ পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে যাতে গণপরিবহন ও সাধারণ মানুষ সরকারের যে স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে তা যথাযথভাবে মেনে চলাচল করে। পুলিশের চেষ্টায় কোনো ত্রুটি থাকবে না।’
জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করে সোহেল রানা বলেন, ‘এক্ষেত্রে জনসাধারণের ও সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া আমাদের যে লক্ষ্য সেটি অর্জন করা সহজ হবে না।’
জেইউ/এফআর/পিআর
Advertisement