এক্সিম ব্যাংকের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অপহরণ, হত্যার হুমকি ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা ছিল সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে। তবে মামলার তদন্তকালীন সময়েই নিজেদের ‘অসুস্থ’ দেখিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাইল্যান্ডে পাড়ি দিলেন এই দুই ভাই।
Advertisement
গত ১৯ মে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক রন ও দিপুর বিরুদ্ধে এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া এবং অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে অপহরণ করে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে জানাজানি হয় ২৬ মে। তবে এর ১ দিন আগেই ২৫ মে দেশত্যাগ করেন তারা।
থাইল্যান্ডের ভিসা ও বাংলাদেশ ত্যাগের ক্লিয়ারেন্স থাকায় তাদের বাধা দেয়নি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
তবে মামলা থাকার পরেও কীভাবে তিনি দেশ ছাড়লেন এ বিষয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মীর শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “রন ও দিপু মেডিকেল ভিসা নিয়েই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে চলে গেছেন। তারা কোনো মামলার আসামি কি না, সে বিষয়ে আমরা সে সময় অবগত ছিলাম না। তবে পরে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে।”
Advertisement
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, ‘উই হ্যাভ নো আইডিয়া অ্যাবাউট ইট। আমাদের যারা দায়িত্বে আছে, তাদেরও জিজ্ঞেস করেছি, তারাও বলেছে তারা এ বিষয়ে কিছুই জানে না। আমিও আপনার মতো পেপারে দেখেছি। এর বাইরে আমরা কিছু জানি না।
দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার পর আদালতের অনুমতি নিয়ে দেশ ছাড়লেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে করোনার প্রকোপের মধ্যে যখন সব দেশের নাগরিকরা নিজ দেশে ফিরছেন, তখন আদালতের আদেশ নিজ দেশ ত্যাগ করলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সিটিসেল ও এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান ও তার স্ত্রী। তারা প্লেন ভাড়া করে যুক্তরাজ্যে গেছেন। তিনি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৩৮৩ কোটি অর্থ আত্মসাতের মামলায় তার দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে আদালতের আদেশ নিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যে গেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) সোহেল রানা জাগো নিউজকে বলেন, ‘তিনি আদালতের অর্ডার নিয়ে ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে দেশের বাইরে গেছেন।’
Advertisement
এর আগে ২০১৯ সালের ১০ জুন সিটিসেলের নামে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৩৮৩ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ওইদিন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলমের সই করা এক চিঠিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষ শাখার (এসবি) পুলিশ সুপারকে (এসএস-ইমিগ্রেশন) অনুরোধ করা হয়। তবে মোরশেদ খান তাদের দেশত্যাগের অনুমতিপত্র ইমিগ্রেশন পুলিশকে দেখালে তারা তাকে দেশ ছাড়তে কোনো বাধা দেননি।
এআর/জেডএ