এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯) সিলেট সদর দপ্তরের ১৩ সদস্য নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে এতো সংখক র্যাব সদস্যের আক্রান্ত হওয়ায় র্যাব-৯ এর পক্ষ থেকে আরও সর্তকতামূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
Advertisement
এতদিন সিলেট চিকিৎসক, পুলিশ, ব্যাংকার ও সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আক্রান্ত হলে র্যাব-৯ সদস্যরা ছিলেন নিরাপদ। অবশেষে এই প্রথম সিলেটের র্যাব সদস্যরাও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন।
শুক্রবার (২৯ মে) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার পর রাতে তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯ সিলেটের এএসপি কামরুজ্জামান। তিনি জানান, শুক্রবার আমাদের ১৬ জন সদস্যের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। এরমধ্যে ১৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
Advertisement
তিনি আরও জানান, এদের মধ্যে কয়েকজনের হালকা জ্বর-সর্দি ছিল। তবে বাকিদের মধ্যে কোনো উপসর্গ নেই। তাদের র্যাব-৯ এর ক্যাম্পে আলাদা করে আইসোলেশন করে রাখা হয়েছে।চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এদিকে, সিলেট জেলায় ১৩ র্যাবসহ ৩১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তাদের রিপোর্ট আসে পজিটিভ।
শুক্রবার রাতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, ১৮২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩১ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ১৮ জনই সিলেট সদর উপজেলার। এছাড়া বিয়ানীবাজার উপজেলার ৩ জন, কানাইঘাটের ৪ জন, জকিগঞ্জের ৪ জন, জৈন্তাপুরের ১ জন ও গোলাপগঞ্জের ১ জন রয়েছেন।
Advertisement
আক্রান্তদের মধ্যে জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের ভাপপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইয়াহিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এর আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ মে বুধবার সাড়ে ১২টার দিকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে তিনি মারা যান ওই ইউনিয়নের সচিব আবুল হোসেন।
এ নিয়ে সিলেট জেলায় করোনাক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৬১ জনে। এ জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ১৩জন।
ছামির মাহমুদ/এমএএস