দেশজুড়ে

করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে দেশের প্রথম ব্রাদারের মৃত্যু

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের একজন ব্রাদারের (নার্স) মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

করোনায় (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রথম ব্রাদার (নার্স) এর মৃত্যু হলো। শুক্রবার (২৯ মে) রাত সোয়া ১০টার দিকে মারা গেছেন নার্সিং কর্মকর্তা (ব্রাদার) রুহুল আমিন।

এর আগে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারের আইসিইউতে নেয়া হয়। এর ৪ ঘণ্টা পর তার মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ নার্সিং অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক জানান, করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে নিজেই করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের নার্সিং কর্মকর্তা (ব্রাদার) রুহুল আমিন।এরপর করোনা আইসোলেশন সেন্টার নিজের কর্মস্থল শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান তিনি।

Advertisement

এর আগে রুহুল আমিনের শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ইউনুছুর রহমান, উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়, এনেস্থেসিয়া বিভাগের প্রধান ডা. ময়নুল হোসেন ডালিম, শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আরএমও সুশান্ত কুমার মহাপাত্র ও একই হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক নিহারী রাণী দাসসহ বিএনএ নেতৃবৃন্দ।

রুহুল আমিনের মৃত্যুর পর শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে, নার্সিং কর্মকর্তা রুহুল আমিনের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সভাপতি শামীমা নাসরিন ও সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক। তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এক শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, রুহুল আমিন করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে নিজেই করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন। মানবিকযোদ্ধা হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম শহীদ ব্রাদার। মানবসেবায় তার নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

ছামির মাহমুদ/এমএএস

Advertisement