জাতীয়

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে লঞ্চ, বাড়বে না ভাড়া

সরকারের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী রোববার (৩১ মে) থেকে লঞ্চ চলাচল করবে। মালিকদের দাবি থাকলেও আপাতত বাড়ছে না লঞ্চ ভাড়া।

Advertisement

শুক্রবার (২৯ মে) অভ‍্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রীবাহী নৌযান পরিচালনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে লঞ্চ মালিক সমিতি ও নৌযান শ্রমিকদের সাথে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে চলমান ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শনিবার (৩০ মে) শেষ হচ্ছে। রোববার থেকে সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। একই সঙ্গে ওই দিন থেকে গণপরিবহনও (বাস, লঞ্চ, ট্রেন) চালু হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান বলেন, ‘সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া ১৪টি নির্দেশনা মেনে রোববার থেকে লঞ্চ চলাচল করবে। আমরা সদরঘাটসহ নদীবন্দরগুলোতে যাত্রীদের জীবাণুমুক্ত করে লঞ্চে ওঠাব, এই দায়িত্ব নেবে বিআইডব্লিউটিএ। এজন্য আমরা জীবণুমুক্ত করার টানেল বসিয়েছি, আরও বসানো হবে। তাপমাত্রা মাপারও ব্যবস্থা থাকবে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘আর লঞ্চ মালিকরা লঞ্চ জীবাণুমুক্ত করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রীদের পরিবহন করবেন। লঞ্চ মালিকরা লঞ্চের মধ্যে মার্কিং করে দিতে পারেন, তবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যাবে। যাত্রীরা যাতে মাস্ক পরে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।’

মালিকরা ভাড়া বাড়ানোর দাবি তুলছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা (মালিকরা) বলছেন, যেহেতু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কারণে অনেক কম যাত্রী পরিবহন করতে হবে এবং অনেক দিন ধরে লঞ্চ বন্ধ রয়েছে, সেজন্য তারা ভাড়া বাড়ানোর কথা বলেছেন।’

‘আমরা এজন্য একটি কারিগরি কমিটি করে দেওয়ার কথা বলেছি। বিআইডব্লিউটিএ’র কোনো কর্মকর্তা কমিটির প্রধান হবেন। সেখানে লঞ্চ মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা সদস্য হিসেবে থাকবেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে কারিগরি কমিটি আগামী ১০/১২ দিন দেখে আবার আলোচনায় বসে আমরা ঠিক করব ভাড়া বাড়ানো প্রয়োজন কিনা।’

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুই মাস লঞ্চ চলেনি, শ্রমিকদের বেতন দিতে হয়েছে, এজন্য তারা প্রণোদনা চাচ্ছিলেন। সেই বিষয়ে আমরা বলেছি, তাদের দাবি আমরা সরকারের কাছে উপস্থাপন করব। আশা করি সেটা বিবেচনা করা হবে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের দাবি ছিল তারা যাতে সুরক্ষা সামগ্রী পায়। তারা যাতে আবার সংক্রমিত না হয়। শ্রমিকদের সুরক্ষা সামগ্রী মালিকরা দেবেন, তারপরও আমরা বলেছি মালিকরা যদি কোনো কারণে না দিতে পারে আমরা বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা আমাদের তহবিল থেকে তাদের সহায়তা করব।’

কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, ‘যাত্রীদের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে তারা যাতে নিজেরা সচেতন থাকেন, নিজের সুরক্ষা নিজে বজায় রাখেন। তবেই সুস্থ থাকা যাবে।’

আরএমএম/এসএইচএস/জেআইএম