জাতীয়

সাধারণ ছুটি বৃদ্ধির দাবি মহিলা পরিষদের

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অফিস, গণপরিবহন খুলে দেয়ার বিষয়ে গত ২৮ মে জারি করা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। একইসঙ্গে এমন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে নারীর অগ্রগামিতায় সক্রিয় এ সংগঠন।

Advertisement

শুক্রবার (২৯ মে) বিকেলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এক যৌথ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে উদ্বেগ জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা গভীর বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, যখন দেশে প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘতর হচ্ছে, সেই সময় গত ২৮ মে সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ৩১ মে থেকে সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বসাশিত প্রতিষ্ঠানসহ সীমিত আকারে গণপরিবহন খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হলো। সরকারের এই ঘোষণায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গভীর উদ্বেগ ও তীব্র শঙ্কা প্রকাশ করছে।

সরকারের করোনা বিষয়ক টেকনিক্যাল কমিটি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বর্তমান সময়ে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই এখন পর্যন্ত একমাত্র উপায়। এরকম পরিস্থিতিতে সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস ও গণপরিবহন খোলার প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো, যাতে জনজীবন আরও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠল।

Advertisement

সরকারের একদিকে শর্ত সাপেক্ষে বাজার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত, অপরদিকে জনগণের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা সিদ্ধান্তের সমন্বয়হীনতার প্রতিফলন বলে মনে হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই প্রজ্ঞাপন পুনর্বিবেচনা করে সাধারণ ছুটির সময়সীমা বৃদ্ধি ও দেশব্যাপী কঠোরভাবে লকডাউন ঘোষণা ও কার্যকর করার জোর দাবি জানাচ্ছে। এছাড়া কোভিড-১৯ চিকিৎসার নতুন কেন্দ্রসমূহ সরকারের ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে।

একইসঙ্গে এই সময়ে সরকারকে জীবনধারণের জন্য সকল খেটে খাওয়া মানুষকে চলমান সহায়তা অব্যাহত রাখার দাবি জানানো হয়েছে।

জেইউ/এফআর/জেআইএম

Advertisement