করোনাভাইরাস উপেক্ষা করে সুস্থ থাকতে হলে সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার ও পানীয় গ্রহণ করা খুবই জরুরি। যারা প্রতিদিন পুষ্টিসমৃদ্ধ সুষম খাবার গ্রহণ করেন, তাদের জটিল এবং সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কম। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি। করোনার এ সংকটে সঠিক খাদ্যাভ্যাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
Advertisement
এবার তাহলে জেনে নিন সুস্থ থাকতে হলে আমাদের কী করতে হবে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাচ্ছেন মো. বিল্লাল হোসেন—
তরতাজা ফল-মূল ও শাক-সবজি খান: ফল-মূল, শাক-সবজি, বাদামজাতীয় খাবার, শস্যজাতীয় খাবার, মাছ, মাংস ও দুধ—এ খাবারগুলো টাটকা অবস্থায় খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফল-মূল ও শাক-সবজিতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। খাবার কখনোই অতিরিক্ত সেদ্ধ করবেন না। এতে খাবারের পুষ্টিমান কমে যায়।
প্রচুর পানি পান করুন: জীবনের জন্য পানি একটি অপরিহার্য উপাদান। পানি আমাদের দেহে পুষ্টি উপাদান ও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ পরিবহনে অংশগ্রহণ করে। দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বর্জ্য পদার্থ নিঃসরণে সহায়তা করে। বিভিন্ন হাড়ের সংযোগস্থলে পিচ্ছিলকারক হিসেবে কাজ করে। সুতরাং এটি স্পষ্ট, পানি ছাড়া আমাদের দেহের শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা অসম্ভব। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করা।
Advertisement
তেলজাতীয় খাবার কম খান: সম্পৃক্ত ও ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার, যেমন- অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার, ফাস্ট ফুড, মার্গারিন, কুকিজ, ফ্রোজেন পিজ্জা ইত্যাদি পরিহার করুন। এগুলোর বদলে অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার, যেমন- মাছের তেল, বাদাম তেল, ক্যানোলা ওয়েল, সূর্যমুখী তেল, অলিভ ওয়েল, কর্ন ওয়েল ইত্যাদি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যাবে।
চিনি ও লবণ কম খান: চিনি ও লবণ—এ দু’টিকে সাদা বিষ বলে অভিহিত করা হয়। আমাদের প্রত্যেকের উচিত, খুব অল্প পরিমাণে লবন এবং চিনি খাওয়া। যাতে আমরা সুস্থ থাকতে পারি। বিশেষ করে সফট ড্রিংকস ও এনার্জি ডিংকস পরিহার করার চেষ্টা করুন। কারণ এতে প্রচুর চিনি থাকে। যা দেহের বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ হতে পারে।
বাইরে খেতে যাবেন না: কোভিড-১৯ মহামারীর এ সময়ে বাইরে যাওয়া মানেই বিপদ বাড়ানো। তাই খাওয়ার জন্য বাইরে না গিয়ে খাবার ঘরেই তৈরি করুন। ঘরে তৈরি করা খাবার যেমন স্বাস্থ্যসম্মত; তেমনি আপনাকে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে।
লেখক: শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
Advertisement
এসইউ/এমএস