করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে চলমান সাধারণ ছুটি আর না বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সীমিতভাবে গণপরিবহন (বাস, নৌযান ও ট্রেন) চালু হতে যাচ্ছে।
Advertisement
নির্দেশনা অনুযায়ী ৩১ মে (রোববার) থেকে সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সড়কে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীবাহী নৌযান ও ট্রেনও চলাচল করবে।
মোটকথা স্বাস্থ্যবিধি মেনে, স্বল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলবে। সেক্ষেত্রে গণপরিবহন ঠাসাঠাসি করে চালানো যাবে না। সামাজিক দূরত্ব মেনেই চালাতে হবে। অবশ্যই যাত্রীদের মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। এগুলো নিশ্চিত করেই মালিকদের গণপরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আগামী ৩১ মে থেকে আটটি এবং ৩ জুন থেকে ৯টি ট্রেন পরিচালনার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়।
Advertisement
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সে অনুযায়ী আগামী ৩১ মে থেকে চলতে পারে এমন আটটি ট্রেনের মধ্যে সুপারিশে রাখা হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট কালনী এক্সপ্রেস, ঢাকা-পঞ্চগড় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, ঢাকা-রাজশাহী বনলতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-লালমনিহাট লালমনি এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-সিলেট-চট্টগ্রাম উদয়ন/পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-খুলনার মধ্যে চলাচলকারী চিত্রা এক্সপ্রেস।
এছাড়া আগামী ৩ জুন থেকে যে ৯টি ট্রেন চলাচলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা-বেনাপোল বেনাপোল এক্সপ্রেস, ঢাকা- চিলাহাটি নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি রূপসা এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোয়ালন্দ ঘাট মধুমতি এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর মেঘনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস এবং ঢাকা- নোয়াখালী উপকূল এক্সপ্রেস।
এ বিষয়ে রেল মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ আলম বলেন, আগামী শনিবার দুপুরে রেলভবনে ট্রেন চালুর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন রেলপথমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে ট্রেন চালুর সার্বিক বিষয় তুলে ধরা হবে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গত ২৫ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে মালবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করছে।
Advertisement
এএস/বিএ