জাতীয়

বিধির প্রয়োগ ছাড়া লকডাউন শিথিল হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চাপ পড়বে

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ষষ্ঠ সভায় কমিটির সদস্যরা তিন দফা সুপারিশ করেছেন।

Advertisement

তারা বলেছেন, বিধিবিধানসমূহ সঠিক পদ্ধতিতে প্রয়োগ না করে লকডাউন পরিস্থিতি শিথিল করা হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব বিধিবিধান সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সুনির্দিষ্টভাবে কোভিড-১৯ রোগে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন নামক ঔষধ ব্যবহারের ঝুঁকির ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছে। এ নির্দেশনা মানতে হবে। এবং ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় কোভিড-১৯ ও অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা একই হাসপাতালে পৃথক পৃথক ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছে। জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি এ সিদ্ধান্ত সঠিক মনে করে।

তারা আরও বলেন, কোভিড-১৯ একটি সংক্রামক রোগ, যা হাঁচি-কাশি ও সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। জনসমাগম এ রোগের বিস্তারের জন্য সহায়ক। বিশ্বের অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার সুনির্দিষ্টভাবে না কমার আগে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চালু করলে রোগের হার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি এ বিষয়ে ইতিপূর্বে গত ৭ মে পরামর্শগুলো প্রদান করে। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) জাতীয় কারিগরি পরামর্শ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব পরামর্শ পুনর্ব্যক্ত করেন।

Advertisement

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রযোজ্য বিধিবিধানসমূহ সঠিক পদ্ধতিতে প্রয়োগ না করে শিথিল করা হলে রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

তারা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সুনির্দিষ্টভাবে কোভিড-১৯ রোগে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন নামক ঔষধ ব্যবহারের ঝুঁকির ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে এ ঔষধের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসার গাইড লাইনে ঔষধটি না রাখার পরামর্শ দিচ্ছে।

আইভারমেকটিন, কনভালোসেন্ট প্লাজমা ও অন্যান্য অননুমোদিত ঔষধ কেবল সুনির্দিষ্টভাবে অনুমোদিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বাইরে ব্যবহার না করার সুপারিশ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এসব ঔষধ বা ব্যবস্থা চিকিৎসা বা প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের জন্য ব্যবহার না করার পরামর্শ দিচ্ছে বলে জানান তারা।

এছাড়া ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় কোভিড-১৯ ও অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা একই হাসপাতালে পৃথক পৃথক ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছে। জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি এ সিদ্ধান্ত সঠিক মনে করে। তবে এ ব্যাপারে প্রশাসনিক, সাংগঠনিক, জনবল ও সরঞ্জামসমূহের বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

Advertisement

এমইউ/এমএসএইচ/পিআর