সিলেটের বিশ্বনাথে এক নারীকে করোনা রোগী সন্দেহ করায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় বিলাল উদ্দিন (৫০) ও ফরিদ আলী (৩০) নামের দু’জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে উপজেলার কাদিপুর গ্রামের রফিক আলী (৫০) ও গয়াছ আলী (৫০) পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত ১৮ মে সোমবার রফিক আলীর স্ত্রী সন্তান প্রসবজনিত কারণে বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকায় ওই নারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে গ্রামে গুঞ্জন শুরু হয়। এর দুইদিন পর রফিক আলীর ভাই প্রবাসী আইয়ূব আলীর সঙ্গে রাস্তায় কথা হয় প্রতিপক্ষ গয়াছ আলীর আত্মীয় একই গ্রামের আঙ্গুর আলীর। এ সময় আইয়ূব আলী আঙ্গুর আলীকে তার বাড়িতে বসে গল্প করার অনুরোধ করেন। কিন্তু আঙ্গুর মিয়া তার বাড়িকে ‘করোনা রোগীর বাড়ি’ বলে আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করলে বাগবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে গত ২৩ মে শনিবার রফিক আলী ও আঙ্গুর আলীর মধ্যে আবারও বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি জানাজানি হলে কাদিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা রফিক আলীর স্ত্রীর নমুনা পরীক্ষা করেন। কিন্তু সম্প্রতি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। বুধবার (২৭ মে) রফিক আলীর ধানক্ষেতে প্রতিপক্ষ গয়াছ আলীর একটি গরু গেলে তাদের মধ্যে আবারও বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা মিমাংসা করে দিলেও বৃহস্পতিবার ফের উভয় পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
Advertisement
আহতরা হলেন, রফিক আলী (৫০), ফরিদ আলী (৩০), মুহিব উদ্দিন (২৬), আক্তার হোসেন (২২), গয়াছ আলী (৫০), আঙ্গুর আলী (৬০), আশরাফ আলী (১৮), তার মা নুরুন নেছা পাতারুন (৫৫), বিলাল উদ্দিন (৫০), ইকবাল হেসেন (২০), কামিল আহমদ (১৭), গৌছ আলী (৩০), সালিশকারী ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন (৩৬), আব্দল মানিক (৬৫), জুনাব আলী ভলা (৫৫), আব্দুল্লাহ (৪০), শানুর আলী (৫০), মোহাম্মদ আলী (৪০), শফাত আলী (২৪), পথচারী নিজাম উদ্দিন (৩৮), ফয়সল আহমদ (২৯) ও আব্দুস সালামসহ (২৫) অনেকে।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছামির মাহমুদ/এফএ/এমকেএইচ
Advertisement