‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তার প্রতি ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি’ প্রদর্শন করে ছুটির নামে লকডাউন প্রত্যাহারের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে বিপদের দিকে ঠেলে দিলো। এটা সরকারের সবচাইতে বড় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত শিগগিরই প্রমাণ হবে। তাদের ভুলের কারণে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘায়িত হলে দায় কার’?
Advertisement
এই দায় জনগণের কাঁধে চাপিয়ে দিলেই সরকার ব্যর্থতার দায় থেকে মুক্তি পাবে না বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব বলেন।
তারা বলেন, করোনা মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে সামঞ্জস্য যেমন নেই, তেমনই সমন্বয়ের ঘাটতি ছিল এবং এখনও আছে। প্রতিদিন পরীক্ষার বিস্তৃতি করার ফলে করোনা শনাক্তকরণ ও মৃত্যুর সংখ্যা যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন অফিস খুলে দেয়া, গণপরিবহন চালু করার পরবর্তীতে বিভীষিকায় পরিণত না করে। এসব বিষয়ে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীন সিদ্ধান্ত পরিস্থিতিকে সেদিকেই নিয়ে যাচ্ছে বলে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
নেতারা বলেন, করোনাভাইরাসে লকডাউন করা হয়নি কিন্তু ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে মানুষ আসলে সাধারণ ছুটি ভোগ করছে আমরা যা দেখতে পাচ্ছি চতুর্দিকে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সরকার এই বিষয়টাতে যে ধরনের গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন ছিল, তা দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
Advertisement
তারা আরও বলেন, জনগণের ওপরে ছেড়ে দিয়ে নয়, জনগণকে দোষারোপ করেও নয়, করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে লকডাউন রাখা, শিথিল করা, সব ব্যাপারেই সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং তার কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে।
কেএইচ/এমআরএম/পিআর