জাতীয়

করোনা ভীতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে ঢাকা!

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভীতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে রাজধানী ঢাকা। আগামী ৩১ মে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষ হচ্ছে। এরপর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস-আদালত খুলছে। সীমিত পর্যায়ে চালু হচ্ছে গণপরিবহনও। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সাধারণ ছুটি সমাপ্তির ঘোষণা এবং সীমিত আকারে অফিস-আদালত ও গণপরিবহন চালুর ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

Advertisement

ঈদের চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। কেউ কেউ দোকানপাট খুলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন। ক্রেতা না থাকলেও অনেকে দোকান খোলা রেখে বসে আছেন। রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা ও যানবাহনের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে।

রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হন এবং ১৭ মার্চ প্রথম রোগী মারা যান। আজ ২৮ মে পর্যন্ত দেশে ৪০ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন, আর ৫৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতেও জীবন-জীবিকার তাগিদে রাস্তায় নামছে মানুষ। নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, রমনা ও কলাবাগান থানার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, করোনার ভীতি থাকলেও জীবিকার তাগিদে মানুষ সময়টাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন।

Advertisement

নীলক্ষেত এলাকার একটি ফটোকপি দোকানের মালিক হাসানুজ্জামান জানান, দুই মাস পর আজ দোকান খুলেছেন। সকাল থেকে যদিও কোনো ক্রেতা দেখা পাননি, তবে তিনি আশাবাদী, আগামী দু’একদিনের মধ্যে ধীরে ধীরে ব্যবসা ভালো হবে।

এলিফ্যান্ট রোডের একটি পোশাক দোকানের কর্মচারী সালাম মিয়া জানান, দোকান মালিকের নির্দেশে আজ দোকান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা এখন থেকে নিয়মিত দোকান খুলবেন।

তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে রাস্তাঘাটে চলাচলকারী এবং দোকানপাটে কর্তব্যরত প্রায় সবাই মাস্ক পরেছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবন-জীবিকার তাগিদে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দিনের পর দিন বন্ধ করে রাখা যাবে না। আর তাই সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি অর্থাৎ মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরিধান করা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে নিজেকে রক্ষা করতে হবে।

Advertisement

এমইউ/এইচএ/এমকেএইচ