করোনাকালে পুলিশ সদস্যদের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার, মৌসুমী ফলমুল ও ইমিউনিটি বর্ধক ওষুধ সরবরাহ করছে পুলিশ। পাশাপাশি এবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শরীরচর্চা অনুশীলনের নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী শরীরচর্চা শুরু করেছে ডিএমপি'র বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা।
Advertisement
করোনাক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়ায় ক্রমাগত সুস্থ হওয়ার তালিকা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি এই প্রাণঘাতী ভাইরাসটি প্রতিরোধ করতে শরীরচর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করলো ডিএমপি।
ডিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (ফোর্স) কে. এন. রায় নিয়তি জানান, ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলামের শরীর চর্চার নির্দেশনার পর থেকেই সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যদের শরীরচর্চা অনুশীলন শুরু হয়েছে।
কে. এন. রায় নিয়তি আরও জানান, করোনা প্রতিরোধী শরীরচর্চায় প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ডিএমপির কল্যাণ ও ফোর্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করছে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল। এছাড়াও রাজধানীর বেসরকারি ইমপালস হাসপাতাল ভাড়া নিয়ে সেখানে করোনাক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা করা হচ্ছে।
Advertisement
ডিএমপি'র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ জানিয়েছে, মহামারি করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে একক পেশা হিসেবে যেমন সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা, আবার সুচিকিৎসা পেয়ে দলে দলে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরছেন। আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও তড়িৎ পদক্ষেপে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা সুস্থ হয়ে কাজে ফেরায় অপেক্ষায় আছেন।
চিকিৎসকদল ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে দলে দলে সুস্থ হচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। ইতোমধ্যে হাজারের অধিক পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে ফিরেছেন।
এখানে উল্লেখ্য, চলমান করোনাযুদ্ধে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের করোনায় আক্রান্ত হওয়া ১২৮০ জন সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
করোনা উপসর্গ (কোভিড-১৯) নিয়ে এসব পুলিশ সদস্যরা কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বুধবার নতুন করে আরও ১৬১ জন এই দুই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন হয়েছেন।
Advertisement
২৬ মে মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ৪০৫৩ জন সদস্য জনগণের সেবা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জন পুলিশ সদস্য চলমান করোনাযুদ্ধে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করে জীবন উৎসর্গ করেছেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দুপুরে জীবন দেন সিটিএসবি'র এসআই মো. রাসেল বিশ্বাস।
জেইউ/এসএইচএস/পিআর