করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে প্রত্যেকের জন্য মাস্ক ব্যবহার করা অত্যাবশ্যক বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকের মাস্ক ব্যবহার করা অত্যাবশ্যক। ঘরের বাইরে গেলে এটা অত্যাবশ্যক হিসেবে ধরে নিতে হবে। অবশ্যই সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করবেন। মাস্ক যখন ফেলে দেবেন, সেটাও যেন সঠিকভাবে ফেলে দিই। যেসব মাস্ক পুনর্ব্যবহার করা যায়...কাপড়ের তৈরি মাস্ক আপনারা ব্যবহার করতে পারেন। কাপড়ের তৈরি তিন স্তরবিশিষ্ট মাস্ক খুলে রাখার সময় সাবান পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। আধ থেকে এক ঘণ্টা সাবান পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর ধুয়ে, শুকিয়ে আবার পরা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষরা কাপড়ের মাস্কই ব্যবহার করতে পারি। কারণ সার্জিক্যাল মাস্ক হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য। চিকিৎসক বা চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যারা জড়িত আছেন, তারা ব্যবহার করেন। কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহার করলে সাশ্রয়ী হয়।’
Advertisement
বারবার সাবান পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়ে ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘এটিও আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে। কারণ এই ভাইরাসটি ড্রপলেটের (লালা) সঙ্গে যেকোনো জায়গায় পড়ে থাকতে পারে। কাজেই বারবার সাবান পানি দিয়ে হাত ধুলে আপনি নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। আমরা অযথা যেন কোনো কারণে চোখে, নাকে, মুখে হাত না দিই। কারণ এই ভাইরাসের প্রবেশের দরজা হলো এগুলো। শিশুদেরকেও এই অভ্যাসগুলো গড়ে তুলতে হবে।’
সেই সঙ্গে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে হবে। তিন ফুট দূরুত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। জনসমাগম, জনসমাবেশ এড়িয়ে চলতে হবে। যেসব সচেতনতার কথা স্বাস্থ্য অধিদফতর বলে, এগুলো মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বানও জানান নাসিমা সুলতানা।
পিডি/এসআর/এমকেএইচ
Advertisement