জাতীয়

তাড়াহুড়ো করে অপমৃত্যুর মামলা করল ইউনাইটেড হাসপাতাল

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুন লেগে পাঁচজন রোগী নিহতের ঘটনাকে আনন্যাচারাল ডেথ (ইউডি) বা অস্বাভাবিক মৃত্যু উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

বুধবার (২৭ মে) রাত সাড়ে ৯টায় রাজধানীর গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য তৈরিকৃত আলাদা তাঁবুতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন পুরো তাঁবুতে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন পাঁচজন রোগী মারা যান। তাদের মরদেহগুলো সোয়া ১০টায় উদ্ধার করা হয়। এরপর প্রায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই গুলশান থানায় মামলা করে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিনথিয়া আক্তার জাগো নিউজকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলাটি করেছে। মামলা নম্বর ৮। মামলায় এই ঘটনাকে অস্বাভাবিক মৃত্যু বা ইউডি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার পর পাঁচজনের যেই দুইজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত নন, তাদের মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয় রাত ২টার পর। পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের আগেই তাদের অভিযোগ (যদি থাকে) না শুনেই মামলাটি দায়ের করে তারা।

Advertisement

এদিকে এ ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যদের তদন্ত কমিটি করেছে ফায়ার সার্ভিস। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে তাদের সাতদিনের সময় দেয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, প্রতিবেদনটি তারা পুলিশের কাছে জমা দেবেন। পুলিশ প্রতিবেদন অনুযায়ী মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে।

অপমৃত্যুর মামলা কী

কোনো ধরনের অস্বাভাবিক বা অপমৃত্যুর সংবাদ পেলে এবং ওই মৃত্যুর বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া না গেলে ইউডি কেস বা অপমৃত্যুর মামলা করা হয়। ইউডি মামলার ঘটনা তদন্তের পর ঘটনার সঙ্গে কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া না গেলে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় ইউডি মামলা নিষ্পত্তি করবেন।

আর যদি তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ওই অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঙ্গে কারো বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতা বা অভিযোগ পান, তাহলে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা পুলিশ রেগুলেশনস বুকের (পিআরবি) ১৭৩ ধারা মতে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবেন। আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলে ইউডি কেস বা অপমৃত্যুর মামলাটি জিআর (জেনারেল রেকর্ডস) বা এসপিটি মামলায় রূপান্তর হয়ে বিচার কার্যক্রম চলবে।

Advertisement

এআর/এসআর/এমকেএইচ