সাদেক হোসেন খোকাকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালত যে রায় দিয়েছেন তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ দাবি করেন। রিপন বলেন, উচ্চ আদালত সাদেক হোসেন খোকাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া এবং বিনা বাঁধায় দেশে ফিরার অনুমতি দিয়েছেন। সেখানে খোকাকে পলাতক দেখিয়ে নিম্ন আদালত যে রায় দিয়েছেন তা আইন বর্হিভূত।খোকার ১৩ বছর কারাদণ্ড প্রসঙ্গে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, সম্পত্তি গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন করা মামলাটি ছিল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। আর এই মামলায় নিম্ন আদালত যে রায় দিয়েছেন তা আইনানুগ হয়নি। এ রায়ের মধ্যে দিয়ে সরকার খোকাকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।রিপন অভিযোগ করেন, খোকা পলাতক নয় তিনি আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাই উচ্চ আদালতের রায় না মেনে নিম্ন আদালতে খোকার বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করাটাও ছিল অবৈধ। উচ্চ আদালত তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সময় বেধে দেয় নাই। অথচ নিম্ন আদালত তাকে পলাতক দেখিয়েছেন।তিনি আরো বলেন, সাদেক হোসেন খোকা যাতে রাজনীতি করতে না পারেন এই হীন প্রচেষ্টায় এ রায় দিয়েছেন আদালত। একতরফাভাবে মামলা চালিয়ে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। তাকে মামলা পরিচালনার সুযোগ দেয়া হয়নি। তিনি বিদেশে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার আইনজীবীরা আদালতে বলেছিলেন, ছয়মাসের সময় দিলে তিনি সুস্থ হয়ে মামলা পরিচালনা করবেন। আদালত সে আবেদন গ্রহণ করেনি।সাদেক হোসেন খোকার গুলশান বাড়ি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গুলশানে খোকার পাঁচ কাটা জায়গা রয়েছে। আর এ জায়গা অবৈধ নয়। অথচ দুদুক এ বাড়ি নিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।মেসার্স বুড়িগঙ্গা খোকার ইন্ডাস্ট্রিজ বিষয়ে রিপন বলেন, বুড়িগঙ্গার সাদেক হোসেন খোকার এক দশমিক ৭ শতাংশ জমি রয়েছে। কিন্তু আদালত এখানে ৭৫ শতাংশ জমির কথা বলেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। খোকাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার সরকারের এটা একটি কূটকৌশল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সহ দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম ও আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।এমএম/জেডএইচ/আরআইপি
Advertisement