করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে প্রমাণিত হওয়ায় এর ব্যবহার আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ইতোমধ্যেই ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি দেশ এর ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। তবে ঝুঁকির সতর্কতা সত্ত্বেও এখনও বেশ কিছু দেশে করোনা রোগীদের ওপর চলছে এর ব্যবহার।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) হাসপাতালগুলোতে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ‘জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহার’-এর অনুমতি দিয়েছে। তবে হৃদযন্ত্রের ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়া করোনার চিকিৎসায় এর ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করেছে তারা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন কেন্দ্র লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন করোনা রোগীসহ সামান্য উপসর্গধারীদের ওপরও এটি প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য প্রতিরোধী ওষুধ হিসেবে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার বাড়িয়েছে ভারত।
Advertisement
এখন পর্যন্ত কোনও গবেষণাতেই হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন করোনার চিকিৎসায় ব্যবহারযোগ্য ওষুধ বলে প্রমাণিত হয়নি। এ কারণে গত সোমবার এর ব্যবহার আপাতত স্থগিত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।
তবে এটি নিয়ে এখনও বেশ কিছু জায়গায় গবেষণা চলছে। যেমন- যুক্তরাষ্ট্রে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের পরীক্ষা চালাচ্ছে সুইস ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নোভারটিস। এছাড়া যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড ও থাইল্যান্ডের মাহিদল অক্সফোর্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন রিসার্চ ইউনিট করোনার চিকিৎসায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের কার্যকারিতা নিযে পরীক্ষা চালাচ্ছে।
আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়াও একই ধরনের ওষুধ ক্লোরোকুইনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
Advertisement
কেএএ/এমএস