দেশের বিমানবন্দরগুলোতে আন্তর্জাতিক (চীন বাদে) ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচলে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সরকারের সাধারণ ছুটির সিদ্ধান্তের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
Advertisement
শেষ হওয়ার পথে সাধারণ ছুটি। তবে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আদৌ উঠছে কি না এ নিয়ে নানা তথ্য শোনা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন ১ জুন থেকে সীমিত আকারে ফ্লাইট চলাচল করবে।
তবে বুধবার (২৭ মে) বিকেল পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বেবিচক।
এ বিষয়ে বিকেলে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ফ্লাইট চালুর বিষয়ে এখনো কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে আশা করি বৃহস্পতিবার (২৮ মে) একটা সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।’
Advertisement
এর আগে বেবিচকের জারি করা এক সার্কুলারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে যাত্রী পরিবহনের (সিডিউল পেসেঞ্জার ফ্লাইট) ক্ষেত্রে বিমান চলাচল নিষেধাজ্ঞা ৩০ মে, ২০২০ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এ নিষেধাজ্ঞা মতো বাহরাইন, ভুটান, হংকং, ভারত, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, ইউএই, ইউকে -এর সঙ্গে বিদ্যমান বিমান চলাচল রুটের ক্ষেত্রে কার্যকর করা হয়েছিল। তবে চীনের ফ্লাইট, বিশেষ ফ্লাইট (চার্টার), কার্গো ফ্লাইট, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও ত্রাণ সহায়তার জন্য আগত ফ্লাইটগুলো এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে ছিল। এ নিয়ে ষষ্ঠ দফা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছে বেবিচক।
ফ্লাইট চলাচলের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা
গত ২ মে দেশের এয়ারলাইন্সগুলোকে অভ্যন্তরীণ (ডমেস্টিক) ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিতে বলেছিল বেবিচক। কি ধরণের প্রস্তুতি নিতে হবে, এ বিষয়ে ইতিমধ্যে এয়ারলাইন্সগুলোকে দিক নির্দেশনা দিয়েছে বেবিচক।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে, ফ্লাইট সংখ্যা নিয়মিত থেকে কম হবে, ধারণক্ষমতার সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ যাত্রী নেয়া যাবে, প্রতিটি ফ্লাইটের আগে প্লেন ডিসইনফেক্টেড বা জীবাণুমুক্ত করতে হবে, প্রতিটি যাত্রীকে নতুন হ্যান্ড গ্লোভস ও মাস্ক দিতে হবে।
Advertisement
এছাড়াও বিমানবন্দরগুলোকে দেয়া বেবিচকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে জীবাণুনাশক ছিটাতে হবে, ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তিনটি ফ্লাইট ছাড়ার অনুমতি দিতে হবে।
এআর/এএইচ/এমএস