দেশজুড়ে

রাজশাহী বিভাগে করোনা আক্রান্ত মোট ৬৪৬ জন

রাজশাহী বিভাগে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪৬ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩ জনের।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬৪৬ জনের। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২১০ জন। করোনায় প্রাণ গেছে এ পর্যন্ত ৫ জনের। তবে করোনা জয় করে ঘরে ফিরেছেন ১৬৯ জন।

এখনও বিভাগে করোনার হটস্পট বগুড়া। এই জেলায় সবমিলিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৭ জন। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ধরা পড়েছে ৮ জনের। জেলার ৩৫ করোনা আক্রান্ত এখন হাসপাতালে। করোনা জয় করেছেন ১৯ জন। করোনায় প্রাণ গেছে বগুড়ায় এক জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে জয়পুরহাটে। এ পর্যন্ত এই জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬৫ জনের। জেলার ১৫২ করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। করোনা জয় করে ঘরে ফিরেছেন ৫৭ জন।

Advertisement

নওগাঁয় বিভাগে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় কারো করোনা ধরা পড়েনি। করোনা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এখানকার ৬ জন। এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬৩ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় এক জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় রাজশাহীতে আক্রান্ত দাঁড়াল ৪৪ জনে। এখানকার ৮ করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর করোনা জয় করেছেন এখানকার ১১ জন। তবে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন রাজশাহীর দুইজন।

নতুন করে আরেকজনের করোনা ধরা পড়ায় নাটোরে আক্রান্ত দাঁড়ালো ৪৬ জন। করোনা জয় করেছেন এখানকার ৯ জন। করোনায় মারা গেছেন নাটোরের একজন।

তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ধরা পড়েনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলায়। এ পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৬ জন, সিরাজগঞ্জে ২৪ জন এবং পাবনায় ৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে একজনের প্রাণ গেছে করোনায়। তবে করোনা জয় করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জে তিন জন করে এবং পাবনায় ৪ জন।

Advertisement

স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবে, বিভাগে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয় ৩৬ হাজার ৩৯৩ জনকে। এর মধ্যে কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন ২৮ হাজার ৭২৪ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৫৫৯ জনকে। এদের ৫০০ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন। চিকিৎসার জন্য ৪৩৮ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৮৫ জন।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এফএ/পিআর