করোনাভাইরাস দুর্যোগে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে হবু মায়েদের। বাইরে থেকে বের হওয়া চলবে না। একান্তই চিকিৎসকের কাছে যেতে হলে সবরকম নিয়ম মেনে যেতে হবে। অতিরিক্ত আতঙ্ক থেকে আসতে পারে মানসিক অবসাদ, যা হবু মা ও অনাগত সন্তান উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। গর্ভাবস্থার তিনটি পর্যায়েই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। নির্দিষ্ট সময় পরপর কিছু পরীক্ষাও করাতে হয়। তবে প্রাথমিক পর্যায়ের প্রথম তিন মাসে বাড়তি সতর্কতা নেয়া প্রয়োজন।
Advertisement
গর্ভাবস্থায় ফলিক অ্যাসিড ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হবে নিয়ম মেনে। মেনে চলতে হবে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি। প্রতিবার খাওয়ার আগে বা বাইরে থেকে এসে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, চোখে, মুখে, নাকে কখনোই হাত দেয়া চলবে না।
পরিবারে কোনো সদস্যের সর্দি-কাশি বা হাঁচি হলে তার কাছে যাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে হবু মাকে এক রকম হোম কোয়ারেন্টাইনে বা আলাদা ঘরে থাকতে হবে এবং সব সময় নাক মুখ ঢেকে মাস্ক পরতে হবে।
গর্ভাবস্থার শুরু থেকে আলট্রাসনোগ্রাফি ও অন্য বিভিন্ন পরীক্ষার দিন পূর্ব নির্ধারিত থাকে। খুব সমস্যা না হলে দরকারে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এই সব টেস্ট কয়েক দিন পেছানো যেতে পারে। তবে কখনোই কোনো পরীক্ষা বাদ দেয়া বা দীর্ঘদিন ফেলে রাখা চলবে না। সেক্ষেত্রে আগাম অ্যাপয়েনমেন্ট নিয়ে সব রকম সাবধানতা নিয়ে মাস্ক পরে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে টেস্ট করাতে যেতে হবে।
Advertisement
বাইরে বের হওয়ার সময় ঘড়ি, মোবাইল, আংটি জাতীয় জিনিসপত্র বাড়িতে রেখে যান। কারণ এগুলো থেকেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস।
করোনা সংক্রান্ত খবর না দেখে সিনেমা দেখুন, গান শুনুন। বই পড়ুন কিংবা ফোনে গল্প করুন প্রিয়জনদের সঙ্গে। অকারণ ভয় না পেয়ে আনন্দে থাকুন, আনন্দে বাঁচুন। নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন আপনার চিকিৎসকের সাথে। কোনো অসুবিধা হলে বিশেষজ্ঞকে ফোন করে সবরকম সাবধানতা নিয়ে রোগিণীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
সর্দি কাশি, হাঁচি হলে সতর্ক হোন। উষ্ণ গরম পানি পান করে ও গার্গল করে দেখুন অসুখ সারে কি না। তবে এর সঙ্গে শ্বাসকষ্ট থাকলে এবং ঠোঁটে বা মুখে নিলাভ আভা দেখা দিলে করোনা সংক্রণের কথা ভেবে দরকারি টেস্ট করাতে হবে। করোনা পজেটিভ হলেও ভয় পাবেন না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিয়ম মেনে সাবধানে থাকলে করনা সেরে যায়। গবেষকরা দেখেছেন মায়ের দুধেও করোনাভাইরাস থাকে না। মায়েরা নিশ্চিন্তে সন্তানকে স্তন্যপান করাতে পারেন।
এইচএন/এমএস
Advertisement