চলমান করোনাযুদ্ধে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে নতুন করে আরও ১৫২ জন পুলিশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে পুলিশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়াল। আক্রান্তদের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা ও সেবা দেয়া হচ্ছে।
Advertisement
পুলিশ সদর দফতরের দেয়া তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (২৬ মে) পর্যন্ত নতুন করে ১৫২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। পুলিশে মোট আক্রান্ত ৪ হাজার ৫৩ জনের মধ্যে মাঠপর্যায়ের সদস্যই বেশি। করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার একজন, পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ৮ জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) পদমর্যাদার ১৯ জন, সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ২০ জন, ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ৯৮ জনসহ বাকিরা এসআই, এএসআই এবং কনস্টেবল।
করোনায় পুলিশের সুরক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা জাগো নিউজকে বলেন, ‘মাঠে নিয়োজিত সদস্যরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও সুরক্ষিত থাকতে পারেন, সেজন্য সচেতনতার পাশাপাশি সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি জানানো হচ্ছে। সিনিয়র অফিসাররাও বিভিন্ন ইউনিটে গিয়ে তাদের সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলছেন। সুরক্ষা সামগ্রী ও পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক সরবরাহ এবং ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে।’
পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রামণ ঝুঁকি কমাতে মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সাথে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সেবা ও শুশ্রূষা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করাসহ সব পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে। এ কারণে একদিকে পুলিশে আক্রান্তের হার যেমন ক্রমান্বয়ে কমছে, তেমনি দ্রুততার সাথে বাড়ছে সুস্থতার হার।
Advertisement
এদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত পুলিশ বাহিনীর ১৪ জন সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে সর্বশেষ রোববার (২৪ মে) সকালে মারা যান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) রাজু আহমেদ (৪০)।
জেইউ/জেডএ/পিআর