কৃষি ও প্রকৃতি

ফল ও সবজি চাষে ৭০-৮০ জনের কর্মসংস্থান

ভোলার মানুষকে ফরমালিনমুক্ত ফল ও সবজি খাওয়ানোর জন্য কৃষি কাজে নেমেছেন সদরের বাপ্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা। একটি প্রজেক্টে তিনি ফরমালিনমুক্ত আম, জাম, লিচু, মাল্টাসহ নানা ধরনের ফল ও সবজি চাষ করছেন। এতে সফলও হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া তার প্রজেক্টে ১২ হাজার মণ পেঁয়াজ উৎপাদন করে জেলায় পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখেন।

Advertisement

সরেজমিনে জানা যায়, বিপ্লব মোল্লা গত ৪ বছর আগে ভোলা সদরের রাজাপুর এলাকায় ৩৫ একর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে মাল্টা ও লিচু চাষ করেন। প্রথমবারেই তিনি সাফলতা পেয়েছেন। ছোট পরিসরে কাজ শুরু করলেও এ বছর ব্যাপকভাবে শুরু করেন আম, লিচু, জাম, মাল্টা, ধান, পেঁয়াজ, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি চাষ।

দেশীয় পদ্ধতিতে বিষমুক্ত ফল ও সবজি চাষ করা হচ্ছে চেয়ারম্যানের এ প্রজেক্টে। ফলে বাজারে তার ফল ও সবজির চাহিদা বেশি। এ প্রজেক্টে প্রতিদিন ৭০-৮০ জন শ্রমিক কাজ করেন। তাদের কর্মসংস্থান হওয়ায় কমেছে বেকারত্ব। কৃষি কাজের এমন উদ্যোগের জন্য এলাকায়ও হয়ে উঠেছেন জনপ্রিয়।

ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা বলেন, ‘বাজারের ফল ও সবজি বেশিরভাগই ফরমালিনযুক্ত। যা আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর। তাই ৩৫ একর জমিতে আম, জাম, কাঠাল, লিচু, মাল্টা, পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফল, সবজি এবং ধান চাষ করেছি।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে পেঁয়াজের সঙ্কটে আমার প্রজেক্টে ১২ হাজার মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। যা পুরোটাই ভোলার বাজারে বিক্রি করেছি অনেক কম দামে। লাভের চেয়ে মানুষকে কম দামে ফরমালিনমুক্ত খাবার খাওয়াতে পারাই আমার সফলতা। ভবিষ্যতে বড় পরিসরে করার আশা আছে।’

সদরের ক্রেতা মো. রফিকুল ইসলাম ও উত্তম কুমার সরকার বলেন, ‘চেয়ারম্যানের বাগানের ফল ও সবজি কিনছি নির্ভয়ে। কারণ এসবের মধ্যে কোনো ক্ষতিকর উপাদান নেই। যদি বড় পরিসরে উৎপাদন করতে পারেন, তাহলে অন্য জেলায়ও পাঠানো সম্ভব।’

এছাড়াও গবাদি পশু পালন প্রজেক্টে প্রতিদিনই ভালো বেতনে কাজ করছেন শ্রমিকরা। প্রজেক্টে কাজ করা কয়েকজন জানান, আগে অনেকেই দিনমজুর হিসেবে একদিন কাজ করতো তিন দিন কাজ থাকতো না। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে চেয়ারম্যানের প্রজেক্টে অনেক শ্রমিক একসাথে কাজ করছে। তারা ভালো পারিশ্রমিকও পাচ্ছেন।

সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের সব কাজে আমরা সহযোগিতা করছি। যে কারণে তিনি সফল হয়েছেন। তার দেখাদেখি ভোলার অনেকে বড় পরিসরে কৃষি কাজ করতে আগ্রহী হয়েছেন। ভোলায় কৃষি উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে।’

Advertisement

জুয়েল সাহা বিকাশ/এসইউ/এমকেএইচ