ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে বিতরণের জন্য বিভিন্ন মিল মালিকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা সিদ্ধ ও আতপ চালের বস্তায় দেয়া হচ্ছে ডিজিটাল স্টেনসিল। মূলত স্বচ্ছতা আনার জন্যই সারাদেশের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য বিভাগ প্রথম এই উদ্যোগ নিয়েছে। এই স্টেনসিলে মিলের নাম, মিলের ঠিকানা এবং চাল উৎপাদনের তারিখও উল্লেখ করা হচ্ছে। এতে করে চালগুলো বিতরণের সময় কোনো ধরনের সমস্যা হলে খুব সহজেই চাল সরবরাহ করা মিলকে শনাক্ত করা যাবে।
Advertisement
জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে সরকার ৪০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরাণ করেছে। গত ৭ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। এই চালগুলো সরকারের নানা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বিতরণ করা হয়। প্রতিটি মিলের পক্ষ থেকে বস্তায় মিলের নামসহ সিল থাকে। কিন্তু এই সিলটি মুছে যায়। এতে করে পরবর্তীতে চালে কোনো সমস্যা হলে চাল সরবরাহ করা মিলকে শনাক্ত করতে অসুবিধা হয়।
সেজন্য ডিজিটাল স্টেন সিল দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্য বিভাগ। এতে করে চাল সংগ্রহের পর যদি ওজনে কম হয় অথবা চালের মান খারাপ হয় তাহলে স্টেনসিল দেখে খুব সহজেই চালের বস্তাটি কোন মিলের সেটি শনাক্ত করা যাবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী বলেন, আমরা চাল কেনার ৫-৬ মাস পর যখন বিতরণ করি অথবা অন্য জায়গায় পাঠাই তখন চালের বস্তায় ওজন কম হয় বা চালের মান খারাপ হয় বলে অভিযোগ আসে। বস্তার সিল যদি স্পষ্ট না হয় আমাদের বুঝার উপায় থাকে না এটি কোন মিলের। সেজন্য এবার মিল মালিকদের পাশাপাশি আমরাও ডিজিটাল স্টেনসিল দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে করে চালে কোনো ধরনের সমস্যা হলে সহজেই সরবরাহ করা মিলকে শনাক্ত করা যাবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে দেশে আমরাই প্রথম স্টেনসিল দেয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।
Advertisement
আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর/এমকেএইচ