করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আসায় দীর্ঘদিনের জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও জাপান ১১টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়িয়েছে। এই ১১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশও আছে। আছে প্রতিবেশী ভারতও।
Advertisement
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে জুন পর্যন্ত এ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। গত সোমবার (২৫ মার্চ) জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পাশাপাশি ওই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কথাও জানান।
এ বিষয়ে জাপানস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাড়াও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, আর্জেন্টিনা, এল সালভেদর, ঘানা, গিনি এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে আবে বলেন, জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার জন্য আমাদের কঠোর মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছিল। আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখেছি- এসব মানদণ্ড পূরণ হয়েছে।
Advertisement
গত ৭ এপ্রিল প্রথমবারের মতো কিছু কিছু অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারির পর কোভিড-১৯ এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে জাপান। যদিও পরে দেশজুড়ে দফায় দফায় এই জরুরি অবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে সরকারের সমালোচনা শুরু হলে ৭ এপ্রিল জরুরি অবস্থা জারি করেন শিনজো আবে।
জাপান করোনার প্রকোপ কমে আসায় চলতি মাসের মাঝের দিকেই বিধি-নিষেধে শিথিলতা আনতে শুরু করে। তবে করোনার বিস্তারে লাগাম টানতে রাজধানী টোকিওসহ দেশটির বেশ কিছু অঞ্চলে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়।
বিশ্বের প্রধান প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর তুলনায় জাপানে করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার অনেক কম। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৮১ জনের বেশি এবং মারা গেছেন ৮৩০ জন।
Advertisement
এইচএ/এমকেএইচ