ধর্ম

জাহান্নাম থেকে বাঁচার আমল

কবি বলেন, ‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমরকে কোথা ভবে’ পৃথিবীর সব জানদারকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। যারা ঈমাণের সঙ্গে মারা যাবে জাহান্নাম তাদের জন্য হারাম। তাই মৃত্যুর আসার আগেই ঈমান নিয়ে মৃত্যু বরণ করার আমল যেমন দরকার, তেমনি জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের আমলও অত্যন্ত প্রয়োজন। উভয় কাজের আমলই এক সঙ্গে করা যায়। জাগো নিউজে এ আমলটি তুলে ধরা হলো-আমলটি হলো-رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ - رَبَّنَا إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ - رَّبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلإِيمَانِ أَنْ آمِنُواْ بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الأبْرَارِ উচ্চারণ : রাব্বানা মা খালাক্বতা হা-যা বা-ত্বিলান, সুবহা-নাকা ফাক্বিনা ‘আযাবাননা-র। রাব্বানা ইন্নাকা মান তুদখিলিননা-রা ফাক্বাদ্ আখঝাইতাহু, ওয়া মালিজজ্বা-লিমী-না মিন্ আনছা-র। রাব্বানা ইন্না-না সামি’না মুনা-দিআই ইউনা-দী লিলঈমা-নি আন আ-মিনু বিরাব্বিকুম ফা আ-মান্না, রাব্বানা ফাগফিরলানা যুনুবানা ওয়া কাফফির আন্না সাইয়্যেআ-তিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মাআ’ল আবরা-র।অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। পবিত্রতা তোমারই জন্য। আমাদেরকে তুমি জাহানড়বামের শাস্তি থেকে বাঁচাও। হে প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি যাকে জাহানড়বামে নিক্ষেপ কর তাকে অপমানিত কর। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান আনার জন্য একজন আহবানকারীকে আহবান করতে শুনে ঈমান এনেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদের সকল গোনাহ মাফ করে দাও। আমাদের সকল দোষ-ত্রুটি দূর করে দাও। আর নেক লোকদের সঙ্গে আমাদের মৃত্যু দাও।’ (সুরা আনআম : আয়াত ১৯১-১৯৩)আমলের উৎস : আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি ও সৃষ্টি জগতের ওপর চিন্তা-গবেষণা করে তার মাহাত্ম্য ও সুমহান কুদরত সম্পর্কে অবগত হওয়া একটি মহৎ ইবাদত। এতে গভীর মনোনিবেশ করে শিক্ষা গ্রহণ না করা চরম নির্বুদ্ধিতা। এসব সৃষ্টির পিছনে হাজারো তাৎপর্য নিহিত রয়েছে। সে সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা না করে বেপরোয়া হয়ে যেন জাহান্নামে যেতে না হয়, তার জন্য প্রার্থনা করা ঈমানদারগণের কর্তব্য। ঈমানদারগণ যাতে আল্লাহর সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করে জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি পায়, হাশরের ময়দানে লাঞ্ছিত না হয় এবং ঈমানের সহিত মৃত্যু হয়। এই আয়াতে কারিমায় আল্লাহ তাআলা তাই শিক্ষা দিয়েছেন।আমল : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাহাজ্জুদ ছালাতের জন্য রাত্রে ওঠে উক্ত আয়াতগুলোসহ সুরা আল-ইমরানের শেষ পর্যন্ত পড়তেন। যা পড়া সুন্নাত। (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : jagoislam247@gmail.comজাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।এমএমএস/আরআইপি

Advertisement