বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী নেতৃত্বের প্রশংসা করে এ অভিজ্ঞতা বিশ্বের অন্যান্য দেশে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন কমনয়েলথ সেক্রেটারিয়েট প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদে স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে কমনয়েলথ সেক্রেটারিয়েট প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান।কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের কনসালটেন্ট ড. ড্যানিয়েলা ডি ভিটোর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের টিম লিডার এভলিন অগওয়াল । এসময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।প্রতিনিধিদল বাল্যবিবাহ রোধ, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও লিঙ্গসমতায় বাংলাদেশের অগ্রগতি সন্তোষজনক বলে জানান।এছাড়া এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন দেশে নারীর ক্ষমতায়নসহ শিশু মৃত্যু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, লিঙ্গসমতা প্রভৃতি বিষয়ে আরও এগিয়ে যেতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।স্পিকার ড. শিরীন বলেন, বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, শিশু স্বাস্থ্য রক্ষা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এবং দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।তিনি আরও বলেন, শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই নয় বরং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন প্রশংসার দাবিদার। সরকার নারীদের উন্নয়ন, লিঙ্গসমতা, নারীদের সক্ষমতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণসহ মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতীয় ও স্থানীয় রাজনীতিতে নারীদের অবস্থান সুদৃঢ় হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের প্রতিনিধিত্ব সন্তোষজনক। দারিদ্র্য বিমোচনেও বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।এইচএস/এএইচ/আরআইপি
Advertisement