দেশজুড়ে

৫ হাজার গরিব মানুষকে খাইয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি

ঈদের আনন্দ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে অসহায়-অভুক্তদের খুঁজে খুজেঁ রান্না করা খাবার বিতরণ করছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

Advertisement

বরিশাল নগরীর ফকিরবাড়ি রোডে বাসদ কার্যালয় সংলগ্ন মাতৃছায়া স্কুল মাঠে রোববার (২৪ মে) রাতে শুরু হয় রান্নার কাজ। পাঁচ হাজার লোকের জন্য রান্না শেষ করতে সকাল হয়ে যায়। এরপর সেসব খাবার প্যাকেট করা হয়।

সোমবার (২৫ মে) ঈদের দিন দুপুর ১২টার পর স্বেচ্ছাসেবীরা নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের অসহায় ব্যক্তিদের খুঁজে খুঁজে বিতরণ করেন খাবার। বাসদের নেতাকর্মীসহ এ কাজে অংশ নেন প্রায় দেড়শ স্বেচ্ছাসেবী। এ কর্মসূচিকে সংগঠনের পক্ষ থেকে নামকরণ করা হয়েছে ‘মানবতার ঈদ উৎসব’।

করোনা সঙ্কটের শুরুতে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে ঘরে ঘরে মুষ্টিচাল সংগ্রহের লক্ষ্যে ‘এক মুঠো চাল’ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে সংগঠনটির নেতাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা। এরপর থেকে বরিশালে খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী প্রদান, চিকিৎসাসেবা, করোনা রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসসহ নানা ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তারা।

Advertisement

একই সঙ্গে প্রায় দেড় মাস ধরে কর্মহীন অসহায় মানুষের মাঝে চাল-ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল, ডিম, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়স, পুঁইশাক, শিশুদের চকলেট, আচার, চানাচুর, মাস্ক, জরুরি ওষুধ বিতরণ করে আসছেন দলের নেতাকর্মীরা। এই কর্মসূচিকে সংগঠনের পক্ষ থেকে নামকরণ করা হয়েছে ‘মানবতার বাজার’। ‘মানবতার কৃষি’ নামে অপর একটি কর্মসূিচর আওতায় কৃষিতে উৎসাহিত করতে কৃষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সবজি ও ফলদ গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।

সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, ২৮ মার্চ মানুষের দান করা মুষ্টিচাল সংগ্রহ করে দুস্থদের সহায়তার কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর স্বেচ্ছাসেবী ও বিভিন্নজনের অনুদান সংগ্রহ করে মানবতার বাজার কর্মসূচি চালু করা হয়। সেখান থেকে বিনামূল্যে প্রতিদিন অন্তত ২০০ দরিদ্র মানুষ ৬০০-৭০০ টাকার বাজার করতে পারছেন। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ বাজার খোলা থাকছে গরিবদের জন্য।

জেলা বাসদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন বলেন, মানুষ মানুষের জন্য- অসহায় মানুষগুলোর পাশে আমরা না দাঁড়ালে কারা দাঁড়াবে। একজনের দেখাদেখি আরেকজন নামছে সামাজিককাজে। লক্ষ্য একটাই; অসহায় মানুষগুলো যেন খাবার পায়। তারা যেন অভুক্ত না থাকেন।

বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অনেক মানুষের না খেয়ে দিন কাটছে। পেটে ক্ষুধা থাকলে ঈদের আনন্দ আসবে কোথায় থেকে। তাই তাদের মাঝে ঈদের আনন্দ কিছুটা ছড়িয়ে দিতে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পাঁচ হাজার গরিব মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। খাবারের প্যাকেট পেয়ে তাদের মুখের হাসি ফুটেছে। এই অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না।

Advertisement

এএম/পিআর