জনপ্রিয় অভিনেতা ডাক্তার এজাজুল ইসলাম। নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরেই তিনি অভিনয় ভুবনে পথচলা শুরু করেন। অসংখ্য নাটকে কাজ করে ডাক্তার এজাজ পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা। এছাড়া কাজ করেছেন চলচ্চিত্রেও। মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘তারকাঁটা’ ছবিতে অভিনয় করে জিতে নিয়েছেন সেরা পার্শ্ব অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।
Advertisement
সর্বশেষ এজাজুল ইসলাম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত জানুয়ারি মাসে তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন। করোনা ভাইরাসের প্রকপের দিনে কীভাবে ঈদ কাটাচ্ছেন ডা. এজাজা।
জনপ্রিয় এই অভিনেতা জানালেন, বাড়িতে ছেলের সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়েছেন তিনি। করোনা দিনের নানা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন তিনি।
ডা. এজাজ বলেন, ‘১৯৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম শোলাকিয়া ঈদের মাঠে ঈদের জামাত হয়নি। সারা দেশের মানুষ এই ঈদের নামাজ দেখে। এবার মিস হলো সবচেয়ে বড় ঈদের নামাজ। এত দুঃখ বেদনা কি করে রাখি। এই প্রথম ছেলের সঙ্গে ঈদের জামাত করলাম বাড়িতে।’
Advertisement
ডা. এজাজ আরও বলেন, ‘সেদিন বের হয়েছিলাম ঢাকা শহর ঘুরতে। চারিদিকে হাহাকার। কিছু নেই। ফাঁকা। কেমন যেন একটা অবস্থা চারিদিকে। স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিলো। করোনাভাইরাস ও পাকবাহিনীর মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। তখন পাকবাহিনী ছিল এখন পাকবাহিনী হলো করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাস সমান পাকবাহিনী। তখন আমরা যেরকম ভয়ে নিস্তব্ধ অবস্থায় সময় কাটাচ্ছিলাম ঠিক সে অবস্থায় এখন আমরা পড়েছি’
আফসোস করে এজাজ বললেন, ‘একটা ক্লাসের মানুষ নিয়ম মেনে চলছে। তবে ঢাকার শপিংমলগুলোতে গেলে দেখা যায় শিক্ষিত লোকরাও ঠিকমত নিয়ম মেনে চলছে না। ব্যাংকে গেলেও দেখি নিয়ম মেনে চলছে না কেউ। মানুষ আর কবে সচেতন হবে!’
এজাজ আরও বলেন,‘নিজে সতর্ক না হলো করোনা থেকে কাউকে বাঁচানো যাবে না। সামাজিক দুরুত্ব মানতেই হবে। নিজের জায়গা থেকে বাঁচুন। তবেই মুক্তি মিলবে এই ভাইরাস থেকে।’
এমএবি/পিআর
Advertisement