টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নতুন করে এক পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২০ মে স্বাস্থ্যকর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠান। এর মধ্যে মির্জাপুরের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত এক পুলিশ সদস্যসহ সোমবার (২৫ মে) ছয়জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
Advertisement
অন্য আক্রান্তদের বাড়ি উপজেলার ফতেপুর, বানাইল, আনাইতারা, বহুরিয়া ও ভাওড়া ইউনিয়নে। তারা ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে চাকরি করেন। ঈদুল ফিতরের দিন ছয়জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরে মির্জাপুরের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক আক্রান্তদের আইসোলেশনে পাঠানো ও আক্রান্তদের বাড়িসহ আশপাশের বাড়ি লকডাউনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্যকর্মীরা মির্জাপুর থেকে এ পর্যন্ত ৬৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ২০ মে পর্যন্ত ৬১৪ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজন সংবাদকর্মী ও একজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ ২৪ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে।
Advertisement
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম বলেন, মির্জাপুর উপজেলা ঢাকা ও গাজীপুর জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা। এ উপজলায় গাজীপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসেছে। মানুষ সচেতন না হওয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। তিনি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপজেলাবাসীকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন ও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সায়েদুর রহমান জানান, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নিরলসভাবে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। করোনা পজিটিভ আসা ছয়জনকে আইসোলেশনে নেয়ার এবং তাদের বাড়িসহ আশপাশের বাড়ি লকডাউনের প্রক্রিয়া চলছে।
এস এম এরশাদ/আরএআর/এমএস
Advertisement