করোনার এই দুর্যোগে এবার ভিন্ন রকম ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে সারাবিশ্বে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। করোনা মহামারির মধ্যেই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Advertisement
সোমবার (২৫ মে) সকাল ৭টায় এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারি কাজী মাসুদুর রহমান।
নামাজ শেষে খুতবা পেশ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নির্দেশনা মেনে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখেন মুসল্লিরা।
নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। পাশাপাশি সম্প্রতি বৈশ্বিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও নিহতদের জন্য দোয়া করা হয়েছে।
Advertisement
তবে ঈদের নামাজ শেষে চির পরিচিত দৃশ্য মুসল্লিদের হাত মেলানো ও কোলাকুলির দৃশ্য এবার চোখে পড়েনি। করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ থেকে বিরত থাকেন মুসল্লিরা।
এবার বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি ঈদের জামাত হবে। সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাত শুরু হয়েছে। এরপর ৯টা, ১০টা এবং পৌনে ১১টায় জামাত হবে।
অন্যান্য মসজিদের মতো বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রেও ১৩ দফা শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
শর্তগুলো হচ্ছে-নামাজের সময় মসজিদে গালিচা বিছানো যাবে না; নামাজের আগে পুরো মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে; জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে মুসল্লিদের; সবাইকে মাস্ক পরতে হবে; মসজিদে প্রবেশের আগে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে; মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না; নামাজের কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
Advertisement
এসআর/এমএস