খেলাধুলা

সেই সাইকেলকন্যার বীরত্বে অভিভূত ট্রাম্পকন্যা ইভাঙ্কা

করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে আটকা পড়ে গিয়েছিলেন গুরগ্রামে। সেখান থেকে অসুস্থ বাবাকে নিয়ে সাইকেল চালালেন ১২০০ কিলোমিটার। ভারতের ১৫ বছর বয়সী কিশোরী জয়তি কুমারি টানা সাতদিন সাইকেল চালিয়ে ১২০০ কিলোমিটার সাইকেলে পাড়ি দিয়ে পৌঁছান বিহারে নিজের বাড়িতে।

Advertisement

এই কিশোরীর এমন এক অসাধারণ কর্মকাণ্ডে অভিভূত পুরো ভারত। জয়তি কুমারিকে তাই সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের জাতীয় সাইক্লিং ফেডারেশন ট্রায়ালে ডেকে নিয়েছে। দু’দিন আগেই সেই সাইকেলকন্যাকে নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে জাগোনিউজেও, ‘বাবাকে নিয়ে ১২০০ কি.মি. সাইকেল চালিয়ে কপাল খুলে গেলো কিশোরীর!’- এই শিরোনামে। সেই জয়তি কুমারির এই অসাধারণ কাণ্ড ভারতের গন্ডি ছাড়িয়ে ঠাঁই পেয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও।

যে কারণে ১৫ বছরের ‘সাইকেলকন্যা’র সাহস এবং লড়াকু মানসকিতা দেখে রীতিমত মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পও।

গত মঙ্গলবার অসুস্থ বাবাকে সাইকেলের পিছনে বসিয়ে ১৫ বছরের জয়তি গুরুগ্রাম থেকে ১২০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ফিরে আসে নিজের বাড়ি বিহারে। পুরো রাস্তা পাড়ি দিতে জয়তির সময় লেগেছিল সাত দিন।

Advertisement

সেই ঘটনা নিয়ে সাড়া পড়ে গেছে সর্বত্র। ছোট্ট মেয়ের সাহসিকতায় অভিভূত ইভাঙ্কা টুইট করেছেন, ‘১৫ বছরের জ্যোতি বাবাকে সাইকেলে বসিয়ে ফিরে এসেছে নিজের গ্রামে। ১২০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ সে পার হয়েছে সাত দিনে। ভারতের মানুষের এই ভালবাসার ছবিটা অসাধারণভাবে ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ ভারতীয় সাইক্লিং ফেডারেশনকেও।’

যদিও ইভাঙ্কার এই টুইট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়ও উঠেছে। অনেকেই বলেছেন, দরিদ্র মানুষের যন্ত্রণার মধ্যে ধনীরা বরাবরই এক বিচিত্র রোম্যান্টিসিজম খুঁজে পান। এটা সুন্দর কোনও ছবি হতেই পারে না। বরং ইভাঙ্কার মধ্যে যে আদৌ সংবেদনশীলতা নামক কোনো বস্তু নেই, টুইটের মাধ্যমে সেটাই প্রমাণ করেছেন। মূলতঃ তিনি জয়তির এই অসহায়তাকে তামাশা করেছেন।

আইএইচএস/

Advertisement