প্রথম ধাপে ইঁদুরের দেহে পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল আসার পর বানরের শরীরে করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু করেছে থাইল্যান্ড। শনিবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এই ভ্যাকসিন বানরের দেহে প্রয়োগ শুরু হয়েছে বলে দেশটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
Advertisement
থাইল্যান্ডের উচ্চশিক্ষা, বিজ্ঞান, গবেষণা এবং উদ্ভাবনবিষয়ক মন্ত্রী সুভিত মায়েসিনসি বলেছেন, গবেষকরা ভ্যাকসিনটি এখন বানরের দেহে পরীক্ষা করছেন। আশা করছি, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এর কার্যকারিতার বিষয়ে একটি 'পরিষ্কার ফল' পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র থাইদের জন্য নয়, বরং পুরো মানবজাতির জন্য। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ূত চান ওঝা একটি নীতিমালা রূপরেখা নির্ধারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের একটি ভ্যাকসিন অবশ্যই তৈরি করতে হবে এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের এই লড়াইয়ে আমাদের শামিল হতে হবে।
গত বুধবার থাইল্যান্ড ঘোষণা দেয়- দেশটির বিজ্ঞানীরা করোনার একটি ভ্যাকসিন তৈরি করছেন। আগামী বছর এই ভ্যাকসিনটি উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা।
Advertisement
সুভিত বলেছেন, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য এই ভ্যাকসিনটির উৎপাদনের জন্য দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করছে। ভাইরাসের আরএনএ ব্যবহার করে থাই বিজ্ঞানীদের তৈরিকৃত এই ভ্যাকসিনটি দেহকোষে অ্যান্টিবডি তৈরি করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে।
দেশটির ন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট, দ্য ডিপার্টমেন্ট অব মেডিক্যাল সায়েন্স এবং চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যৌথ প্রচেষ্টায় এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর তা বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে; আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ লাখের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে ৩ লাখ ৪৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া এই ভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিষেধক কিংবা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শতাধিক ভ্যাকসিন তৈরির প্রকল্প চালু রয়েছে। এই মহামারির লাগাম টানতে বিজ্ঞানীরা রাতদিন নিরলস কাজ করে চলেছেন।
সূত্র: রয়টার্স।
Advertisement
এসআইএস/এমএস