করোনা শেষে অনেকেই অতি প্রয়োজনে বিমান ভ্রমণ করবেন। তবে মনে রাখতে হবে, আগের মতো বিমান ভ্রমণ করা যাবে না। কারণ করোনাভাইরাসের পাল্টে গেছে অনেক কিছু। এখন তৈরি হয়েছে অনেক বিধি-নিষেধ। তাই বিমান ভ্রমণের আগে ৮টি জরুরি বিষয় জেনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ—
Advertisement
১. প্রথমেই নিশ্চিত হতে হবে, আপনার কোনো সহযাত্রী করোনা আক্রান্ত কি-না? যদিও এটা জানা খুব সহজ হবে না। এটি নির্ভর করে বিমান কর্তৃপক্ষের ওপর। তবে কোনো যাত্রীর শরীরে কোনো রকম উপসর্গ থাকলে বা থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে সমস্যা দেখা গেলে ভ্রমণ করবেন না।
২. কয়টা ব্যাগ আপনি সঙ্গে নিতে পারবেন? তা আগেই জেনে রাখা ভালো। আপনি একটি কেবিন ব্যাগ ও একটি চেক-ইন ব্যাগ নিতে পারবেন। কোনোভাবেই একাধিক চেক-ইন ব্যাগ নেবেন না। সে ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে গিয়ে সমস্যা হতে পারে।
৩. ওই দুটি ব্যাগ ছাড়াও একটি ল্যাপটপ ব্যাগ বা একটি লেডিজ হ্যান্ডব্যাগ নেওয়া যাবে। এর বেশি নয়।
Advertisement
৪. যাত্রীরা ভ্রমণের সময়ে শুকনো খাবার নিয়ে যেতে পারেন। তবে বিমানের ভেতরে খাওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, খাওয়া মানেই মাস্ক খোলা। আর তার মানেই নিজের এবং অপর যাত্রীর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেওয়া।
৫. বয়স্ক যাত্রীরা এ সময়ে ভ্রমণ করবেন না। কারণ বয়স্কদের সংক্রমণের ভয় বেশি। একান্তই জরুরি হলে তাদের জন্য হুইল চেয়ার ও গল্ফ কার্টের ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রতিবার ব্যবহারের পরে সেগুলো স্যানিটাইজ করতে হবে।
৬. যাত্রীরা এ সময়ে ট্রলি ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন। যদি একান্তই প্রয়োজন হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রেও স্যানিটাইজের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
৭. যদি এক বিমান থেকে নেমে অন্য বিমান ধরতে হয়, তাহলে যাত্রীরা বিমানবন্দরের ট্রানজিট এরিয়ায় অপেক্ষা করবেন। কোনোভাবেই সে এলাকা থেকে বের হতে পারবেন না। সেখানে খাবার বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে।
Advertisement
৮. প্রত্যেকেই মাস্ক ব্যবহার করবেন। ভিড় বা ঠেলাঠেলি করবেন না। দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়াবেন। সিট নম্বর অনুসারে নিজের আসনে বসবেন। বিমানে ওঠার আগে মাস্ক দেওয়া হবে। নিজের মাস্কটি পরিবর্তন করলে পুরোনো মাস্কটি নির্দিষ্ট বিনে ফেলতে হবে।
এসইউ/এএ/এমএস