দিন শেষ হয়ে রাত পোহালেই ঈদ। করোনার ঝুঁকি সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে আজও বাড়ি ফিরছে হাজার হাজার মানুষ।
Advertisement
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই নৌরুটের দৌলতদিয়া ঘাটে ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে যাত্রীদের। এ সময় সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি তাদের। প্রতিটি ফেরিতে গাদাগাদি করে যাত্রীরা পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়ায় এসেছেন। এছাড়া সড়কে গণপরিবহন না থাকায় কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা।
ঘরমুখো যাত্রীরা জানান, সড়কে গণপরিবহন না থাকায় কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে তারা পাটুরিয়া পর্যন্ত এসে ফেরিতে নদী পার হয়ে দৌলতদিয়ায় এসেছেন। কিন্তু দৌলতদিয়ায়ও পরিবহন না থাকায় বাড়তি ভাড়া দিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন।
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আছে জেনেও বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছেন তারা। আবার অনেকে বলছেন ঝড়ে ঘর-বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় সেগুলো মেরামত করতে বাড়িতে যাচ্ছেন।
Advertisement
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মাহবুব হোসেন জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে আজ (রোববার) ৯টি ছোট-বড় ফেরি চলাচল করছে। পাটুরিয়া প্রান্তে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। তবে দৌলতদিয়া প্রান্তে কোনো যানবাহনের সিরিয়াল নেই। যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবে পারাপার হচ্ছে।
রুবেলুর রহমান/এফএ/পিআর