আন্তর্জাতিক

মহামারির মধ্যে মিশিগানে অন্যরকম ঈদ

পবিত্র রমজান শেষে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আজ পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর, বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছর এই দিনটি মহাখুশিতে নানা আয়োজনে উদযাপন করেন তারা। তবে এবছরের ঈদ আনন্দে বিশাল বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস। এর কারণে ইতোমধ্যেই ঈদের জামায়াত, নানা অনুষ্ঠানসহ কোলাকুলি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুশল বিনিময়ও নিষিদ্ধ করেছে অনেক দেশ। একই অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যেও। তবে এমন দুর্দিনেও ঈদ উযাপনের নতুন তরিকা বের খুঁজে নিয়েছেন স্থানীয় মুসলিমরা।

Advertisement

মিশিগান মুসলিম কমিউনিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহমুদ আল-হাদিদি বলেন, ‘এবছরের ঈদুল ফিতর হবে একেবারেই অন্যরকম। মসজিদে কোনও জামায়াত হবে না, সম্প্রদায়ভিত্তিক সকালের নাশতা হবে না, কোনও আনন্দমেলা হবে না, রাতের পার্টি হবে না। এমনকি পারিবারিক জমায়েতও থাকবে সীমিত। ’

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ মুসলিম সম্প্রদায়ের বসবাস দক্ষিণপূর্ব মিশিগানে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আগামী ২৮ মে পর্যন্ত গণজমায়েত নিষিদ্ধ সেখানে। এ কারণে স্থানীয় মুসলিমরা জানিয়েছেন, তারা এবার সামাজিক দূরত্ব মেনেই তিনদিনের ঈদ উৎসব উদযাপন করবেন।

আল হাদিদি বলেন, ‘আমরা যেকোনও পরিস্থিতিতেই উদযাপন ও খুশি থাকতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা এর সঙ্গে মানিয়ে নেব।’ রোববার সকালে মিশিগানের হাজার হাজার মুসলিম টেলিভিশন, রেডিও ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা ঈদের খুতবা শুনবেন। পরে মসজিদের বাইরে লাইন ধরে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ধর্মীয় সঙ্গীত শোনা এবং শিশুদের জন্য খেলনা উপহার নেয়ার সুযোগ পাবেন তারা। এবছরই সেখানে প্রথমবারের মতো ড্রাইভ-থ্রু-ঈদ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

Advertisement

ডেট্রয়েটের বাসিন্দা সাম্মান নাসরি জানান, তিনিসহ কয়েক ডজন মানুষ মুসলিমদের মধ্যে খাবার ও উপহার পৌঁছে খুশির বার্তা ছড়িয়ে দেয়ায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন।

নাসরি বলেন, ‘এবারের উদযাপন কিছুটা শান্তভাবে হবে। অবশ্যই এটা ভিন্ন ধরনের উদযাপন।’

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমিত এলাকা মিশিগান। সেখানে এ পর্যন্ত ৫৩ হাজারের বেশি আক্রান্ত ও পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ এ মহামারিতে মারা গেছেন। তবে গত বৃহস্পতিবার থেকে কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করে সীমিত হারে ব্যবসা-বাণিজ্য চালুর ঘোষণা দিয়েছেন মিশিগান গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার।

সূত্র: আল-জাজিরা

Advertisement

কেএএ/পিআর