গুলশানের ৭৪ নম্বর রোডে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গুলশান থানার ওসির বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে আদালতের রুলে। জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের অবকাশকালীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (তদন্ত) ও গুলশান খানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদেরকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।অনীক আর হক সাংবাদিকদের বলেন, ১২ অক্টোবর গুলশানে কার রেসিংয়ের সময় দুর্ঘটনা ঘটে। পত্র-পত্রিকায় এ নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কিন্তু ঘটনার আটদিন পরেও পুলিশ মামলা করেনি। মটরযান আইন অনুসারে ২১ দিনের মধ্যে মামলা না করলে আর কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। তাই জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের ছয়জন আইনজীবী রিট করেন। রিটের বাদীরা হচ্ছেন- সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ওমর ফারুক, কে এইচ বাহার রুমী, মাহফুজ বিন ইউসুফ, শামীম আরা, নাজমুল খন্দকার নাজমুল আহসান ও এসএম আসলাম।এ রিটের শুনানি করে হাইকোর্ট দুর্ঘটনায় গাড়ির চালক ও মালিকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা না নেয়ায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেছেন। অনীক আর হক বলেন, পুলিশ যথাথ আইনি ব্যবস্থা না নিলে বিষযটি আবারও আদালতের নজরে আনা হবে।রিট আবেদনে মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়। ওইসব প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২ অক্টোবর বিকেল পৌনে চারটার দিকে ঢাকার গুলশানের ৭৪ নং সড়কে দুই বন্ধুর কার রেসিং-এর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে রিকশায় মায়ের কোলে থাকা আনুমানিক তিন-চার বছরের এক শিশু নিহত হয়। অনীক আর হক বলেন, পত্রিকার প্রতিবেদনে দেখেছি গাড়ি চালকের আসনে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি এইচবিএম ইকবালের ভাতিজা ফারিজ রহমান (১৬)। তবে পুলিশ গাড়িটিকে আটক করলেও মালিককে আটক করেনি।উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বি এম ইকবালের কিশোর ভাতিজার বেপরোয়া গাড়ি চালানোয় সোমবার (১২ অক্টোবর) গুলশানে এক শিশু নিহত ও চারজন আহত হয়। সোমবার এই ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার তা প্রকাশ পায়। ওই ঘটনায় কোনো মামলাও হয়নি, পুলিশ ওই কিশোরকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়।এফএইচ/আরআইপি
Advertisement